ভাঙ্গায় স্বামীর যৌতুক দাবী, নির্মমতা, নিষ্ঠুরতার জন্য স্ত্রীর আত্বহত্যার অভিযোগ পরিবারের

জাকির মুন্সি, ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ বিয়ের পরে মেয়েদের বাড়ী হয় স্বামীর ঘর। সেবা-শুশ্রুষা, পরিবার-পরিজন নিয়ে সকলেই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে চায়। ঠিক তেমনই ভাবে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ গ্রামের মোঃ আলী আকবরের মেয়ে এক পুত্র সন্তানের জননী তানিয়া সুলতানাও (২৮) চেয়েছিল সুখে শান্তিতে স্বামীর ঘরে থাকতে। বছর কয়েক পেরুতেই ১০ বছরের সংসারের ছোট ছোট ভুল-ত্রুটি রুপ নেয় বড় আকারে।
এক পর্যায়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে স্বামীর পক্ষ থেকে ডিভোর্স পেপার পায় তানিয়া, তবে সংসার ছাড়তে নারাজ থাকায় ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর না করলেও আর সংসার করা হবে না তাঁর। রবিবার পিতার ভিটায় থাকা কালীন স্বামীর পারিবারিক কলহের জেরের যন্ত্রনায় অবশেষে আত্বহত্যার নির্মম পথ বেছে নেয় সে, এমনটাই অভিযোগ সদ্য সন্তান হারানো নির্বাক ও হাহাকার হৃদয় চিত্বের তানিয়ার পিতা আকবর ও তার পরিবারের। রোজা থাকার উদ্দেশ্যে যখন সকলে সেহেরী ও নামাজ শেষে সবেমাত্র ঘুমে বিভোর তখনই ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্বহত্যার সময় বেছে নেয় তানিয়া বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।
সকালে পরিবারের সদস্যরা তানিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে দ্রুত ডাক-চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে। পরে তাদের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানিয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক শেখ আসাদ। এবিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাইদুর রহমান।