জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে —কৃষিমন্ত্রী

জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলায় নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছে, প্রতিনিয়ত গবেষণা অব্যাহত রয়েছে। প্রতিকূল পরিবেশ উপযোগী বিভিন্ন ফসল আবাদের জন্য কাজ করছে কৃষি বিজ্ঞানীরা। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলায় ১২টি সংস্থা কাজ করছে।
নগরায়ন ও শিল্পায়নের কারণে ফসলের জমির হ্রাস রোধ করতে হবে সম্মিলিতভাবে। আজ কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক রাজধানীর আইডিইবি অডিটোরিয়ামে ক্লাইমেট চেইঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন : কৃষি খাতের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি সম্পূর্ণ প্রকৃতিনির্ভর। প্রকৃতি বিরূপ হলে ফসলের উৎপাদন কমে যায় এবং এর প্রভাব ব্যাপক। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবিলায় সবাইকে কাজ করতে হবে। খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ফসলের উৎপাদন বেশি হচ্ছে, আমাদের এই অর্জনকে ধরে রেখে সামনে এগোতে হবে। তিনি আরো বলেন, শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না, এটা অর্থনীতির জন্য ভালো। দেশের উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় তাদের লোকসান হচ্ছে। সরকার বর্তমান সংকটের ব্যাপারে খুবই সচেতন, কীভাবে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় এর সমাধান বের করতে হবে। কৃষকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সব করা হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির বিচারে শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম। দেশের ৩০ লাখ হেক্টর জমি লবণাক্ততায় আক্রান্ত। লবণাক্ততা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া বাস্তবভিত্তিক গবেষণা বেশি প্রয়োজন। ল্যান্ড ও ক্রোপ জোনিং বাস্তবায়ন করাও জরুরি। একেএম এ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বক্তৃতা করেন।