প্রধান মেনু

কৃষি খাতে চীনের ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ

বাংলাদেশের উন্নয়নে অন্যতম সহযোগী চীন। কৃষি, বিনিয়োগ এবং শিল্প- বাণিজ্যে চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের আরো উন্নয়ন চায় সরকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীনের সঙ্গে যে সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন তা আরো টেকসই করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ। দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগসহ অনেক মেগা প্রকল্পে চীনের অংশগ্রহণ রয়েছে। এখন কৃষি শিল্পের
উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা কাম্য।

আজ কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সাথে মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত তযধহম তঁড় সাক্ষাৎ করলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এছাড়া দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে সাক্ষাতে কথা হয়। বাংলাদেশ সরকারের দূরদর্শিতা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে সক্ষম হয়েছে। শুধু তাই নয়, বৈশ্বিক দারিদ্র্য বিমোচনেও বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের সুযোগ কাজে লাগিয়ে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে। দেশটিতে শিল্পায়ন ও নগরায়নের প্রক্রিয়াও ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে যে সাফল্য অর্জন করেছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার, বললেন রাষ্ট্রদূত। রাষ্ট্রদূত

আরো বলেন, বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নে সবসময় পাশে থাকবে চীন। কৃষি খাতে ৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করছে চীনের এক কোম্পানি, তারা এদেশে ৩টি কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করবে। চীন বাংলাদেশ থেকে কৃষিজাত পণ্য আমদানি করবে। বাংলাদেশে চলমান রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চায় বেইজিং। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিরাপদে যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার সাথে মিয়ানমারে ফেরত যাবে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়াও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও নাশকতা দমনে চীন-বাংলাদেশ একসাথে কাজ করবে বলে জানান তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষির আধুনিকায়নের মাধ্যমে জনগণের মানসম্মত খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত বাংলাদেশে পরিণত হতে এবং কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও মূল্যসংযোজনের মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক করতেও কাজ করছে সরকার। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলমান ধানের দাম নিয়ে সরকার বেশ গুরুত্বের সাথে কাজ করছে। কৃষক তার কৃষি পণ্যের ন্যায মূল্য পাচ্ছে না। এক্ষেত্রে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এই মুহুর্তে চাল রপ্তানির কথা ভাবছে সরকার। চীনের প্রতিনিধি দলে আরো ছিলেন, Zheng Tianzhuo, Director of the Political Section of the Chinese Embasst; Hu Zhiying, Attache of the Political Section.