প্রধান মেনু

বগুড়া জেলা বিএনপির কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, তালা ভেঙে কার্যালয় দখল

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়া জেলা বিএনপির নতুন আহবায়ক কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব থামছেই না। গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে (জি এম সিরাজ) আহবায়ক করে জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে একাংশের নেতা-কর্মীরা গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এর তিন ঘণ্টা পর সিরাজপন্থী নেতারা তালা ভেঙে কার্যালয় দখলে নিয়েছেন।

গতকাল রাত ১১টার দিকে নতুন কমিটির দুই যুগ্ম আহবায়ক এ কে এম সাইফুল ইসলাম ও ফজলুল বারী তালুকদারের নেতৃত্বে সিরাজপন্থী নেতারা শহরের নওয়াববাড়ি সড়কের জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সামনে সমবেত হন। পরে তাঁরা তালা ভেঙে কার্যালয় দখলে নেন। গতকাল বিকেলে বিএনপিতে একসময়ের সংস্কারপন্থী নেতা হিসেবে পরিচিত দলের সাবেক সাংসদ জি এম সিরাজকে আহবায়ক করে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে কাল রাত আটটার দিকে শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং নতুন কমিটির আহবায়ক জি এম সিরাজের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম-সমর্থিত নেতারা-কর্মীরা। পরে তাঁরা জি এম সিরাজকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। ‘বিএনপির দুর্গ’ খ্যাত বগুড়ায় গৃহদাহের ঘটনা নতুন নয়। ২০১২ সালের ২২ জানুয়ারি সাইফুল ইসলামকে সভাপতি এবং জয়নাল আবেদীনকে সম্পাদক করে জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই দ্বিধাবিভক্ত নেতা-কর্মীরা।

কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ২৬ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বিএনপি আহবায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ২৯ এপ্রিল বিবাদমান দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি আহবায়ক কমিটি ঘোষণা দেয়। ওই দিন বগুড়া জেলা বিএনপির একাংশ তৎকালীন সভাপতি সাইফুল ইসলামকে আহবায়ক ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীনকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৪৫ সদস্যের কমিটি এবং অন্য পক্ষ খালেদা জিয়াকে উপদেষ্টা ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র এ কে এম মাহবুবর রহমানকে আহবায়ক এবং ফজলুল বারীসহ আরও চারজনকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৩১ সদস্যের পাল্টা কমিটি ঘোষণা দেয়।

এ অবস্থায় ৪ মে বগুড়া জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কমিটি নিয়ে এই বির্ত্কর মধ্যে গতকাল বগুড়া জেলা বিএনপির ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।