ভালুকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোকছেদুর রহমানের ইন্তেকাল। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

উসমান গনি তুহীন, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ভালুকা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড নিবাসী অবসর প্রাপ্ত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আলহাজ্ব মোকছেদুর রহমান ১৪ মে মঙ্গলবার ভোর ৩ টায় ময়মনমিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল ফরমাইয়াছেন। ইন্না লিল্লাাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মরহুমের নামাযে ১ম নামাজে জানাযা দুপুর ২টায় ভালুকা হাজির ভিটা মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জানাযা শেষে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয় ।
এ সময় জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজিম উদ্দিন আহাম্মেদ ধনু,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ কামাল, উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ওসহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন মিলন, পৌর কাউন্সিলরগণ, তাঁর সহকর্মীবৃন্দ, ভালুকা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড আহবায়ক সাদিকুর রহমান তালুকদার সহ এলাকার সর্বস্তরের শ্রেনি পেশার মানুষ জানাযায় অংশ গ্রহণ করেন।
পরে মরহুমের নিজ বাড়ি বরাইদ গ্রামে বরাইদ ঈদগাহ মাঠে ২য় নামাযে জানাযা শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকছেদুর রহমানকে রাস্ট্র্রিয় মর্যাদায় বরাইদে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি স্ত্রী মমতাজ বেগম (প্রধান শিক্ষিকা গাদুমিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়), বড় ছেলে আবু সাঈদ পলাশ (এসিস্ট্যান্ট রেভিনিউ অফিসার হিলি স্থল বন্দর), মেয়ে মেহনাজ সুলতানা নীপা ও ছোট সন্তান আল মাহমুদ পিয়াস (শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালন বিদ্যাবিভাগ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়) সহ অসংখ্য আত্নীয় স্বজন, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ী ও সহকর্মী রেখে গেছেন।
জনাব মোকছেদুর রহমান ছাত্র জীবনেই দেশ মাতৃকার টানে সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর আফসার ঊদ্দিনের নেতৃত্ব স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষে শহীদ শামছুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় কর্ম জীবন শরু করেন। পরবর্তীতে সোনালী ব্যাংকে কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯১২ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তিনি বরাইদ ডাকঘর, মাদরাসা, এতিমখানা প্রতিষ্ঠা করেন ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। সৎ ও সদা হাস্যোজ্জল, প্রানবন্ত এ কর্মবীরের মৃত্যুতে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষক, রাজনৈতিক অঙ্গন শোকাহত।