প্রধান মেনু

বগুড়ায় সরকারীভাবে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে ইরি-বোরো ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকালে থেকে শুরু হয়েছে। এবার কৃষক ও চুক্তিবদ্ধ মিলারের কাছে প্রায় ৯১ হাজার মেট্রিকটন ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে। ভালোমানের ধান-চাল সংগ্রহ করতে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের সূত্র জানায়, এবছর ৭৮ হাজার ৩৫৪ মেট্রিকটন চাল, সাত হাজার ৪৬ টন আতপ চাল ও পাঁচ হাজার ৪৬৪ মেট্রিকটন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রতি কেজি চাল ৩৬ টাকা, ধান ২৬ টাকা ও আতপ চাল ৩৫ টাকায় সংগ্রহ করা হবে। ধান-চাল সরাসরি কৃষক ও চুক্তিবদ্ধ মিলারের কাছে কেনা হবে। এরই মধ্যে দুই হাজার ১৫০ জন মিলারের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। মে মাস থেকে এ জেলায় ইরি-বোরো ধান ও চাল কেনার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্রয় চলবে আগস্ট পর্যন্ত। সূত্রটি আরও জানিয়েছে, মে মাসের শুরুতেই ধান-চাল সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হলেও ধান কাটা-মাড়াই দেরি হওয়ায় সংগ্রহ অভিযান শুরু করা সম্ভব হয়নি।

এরই মধ্যে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম সাইফুল ইসলাম জেলার সব খাদ্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নিম্নমানের ধান-চাল সংগ্রহ না করতে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। বগুড়া জেলায় ২৩টি স্থানীয় খাদ্য গুদাম (এলএসডি) ও একটি কেন্দ্রীয় সংরক্ষণাগারের (সিএসডি) ধারণ ক্ষমতা এক লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন। সেখানে সংগ্রহ টার্গেট রয়েছে ৯০ হাজার ৮৬৪ মেট্রিক টন।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালকের কার্যালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, চলতি মৌসুমে এক লাখ ৮৯ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়। সেখানে চাষাবাদ হয়েছে এক লাখ ৮৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, সাত লাখ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে প্রতি হেক্টর (সাড়ে সাত বিঘা) জমিতে ধান মিলছে ছয় মেট্রিক টন আর চাল চার মেট্রিক টন।

এরই মধ্যে ৩২ শতাংশ জমির ধান কাটা ও মাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। কৃষকদের প্রতি কেজি চাল উৎপাদনে সর্বসাকুল্যে খরচ পড়ছে ৩১ টাকা ১৫ পয়সা। প্রতি মণ (৪০ কেজি) চাল উৎপাদন খরচ এক হাজার ২৪৬ টাকা। বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম সাইফুল ইসলাম জানান, কৃষকের কাছে সরাসরি ও চুক্তিবদ্ধ মিলারের কাছ থেকে ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে। তিনি আরও জানান, নিম্নমানের ধান ও চাল গুদামে না তুলতে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।