ঢাকা, ১৩ মে, ২০১৯: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে কর্মপরিকল্পনাগ্রহণসম্পর্কিত একসভা আজ মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডলের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর “দেশের মৎস্যসম্পদ হবে বহির্বিশ্বে রপ্তানিযোগ্য অন্যতম দ্বিতীয়খাত” বঙ্গবন্ধুর এই উক্তি আজ সত্যে পরিণত হতে চলেছে। তিনিই সর্বপ্রথম চট্টগ্রাম মৎস্যবন্দর স্থাপন করেন বলেও তারা উল্লেখ করেন। তারা অচিরেই মৎস্যখাতকে রপ্তানিযোগ্য দ্বিতীয়খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করারও অঙ্গীকার করেন।

সভায় আগামী ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মুজিববর্ষ উদযাপনকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদখাতে বঙ্গবন্ধুর যাবতীয় অবদানকে দেশব্যাপী তুলে ধরার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উল্লেখ্য, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০২১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তিতে সুবর্ণজয়ন্তীও পালন করা হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মন্ত্রণালয় এবং তার অধিনস্থ দফতর ও সংস্থা কর্তৃক গৃহীত কর্মপরিকল্পনাগুলো প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনদজাতীয় বাস্তবায়ন কমিটিকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।

প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয় এবং দফতরসমূহের সামর্থ ও যোগ্যতানুযায়ী কেবল বাস্তবায়নযোগ্য কর্মসূচিই গ্রহণের য়াহবান জানিয়ে বলেন, দেশের উন্নয়ন ও সেবামূলক কর্মকাণ্ডকে মুজিববর্ষে প্রতি মানুষের কাছেই পৌছিয়ে দিতে হবে। বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির ক্ষেত্রে এই একবছরে মন্ত্রণালয়ের দুর্বলতাগুলোও আমাদের কাটিয়ে
উঠতে হবে।

কর্মপরিকল্পনাগহণসংক্রান্ত সভায় অন্যান্যের মধ্যে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান দিলদার আহমেদ, মৎস্য অধিদফতরের ডিজি আবু সাইদ মোঃ রাশেদুল হক, প্রানিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি ডাঃ হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড ইয়াহিয়া মাহমুদ, প্রাণিসসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি নাথুরাম সরকারসহ মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সংস্থা-দফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ।