অস্থির গরম, কমছে না ॥ গাংনীতে নাজেহাল জনজীবন
মজনুর রহমান আকাশ, গাংনীঃ মেহেরপুরের গাংনীতে অস্বস্তির গরম যেন কিছুতেই কমছে না। বেড়েছে তাপদাহ। বৈশাখের মাঝামাঝি থেকে প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। সেই সাথে তীব্র গরমে নাজেহাল মানুষ। গরমে দিশেহারা জনগন সামান্য স্বস্তির জন্য রাস্তার পাশে দোকান থেকে শরবত কিংবা ডাব খাচ্ছেন। অনেকেই অসুস্থ হয়ে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। গাংনীতে গতকালও ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জানা গেছে, দিন রাতের তাপমাত্রার মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। রাত বারটার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে তা সকাল ৯ টা পর্যন্ত বিরাজ করছে।
নয়টার পর থেকে সূর্য মামা স্বচরিত্রে প্রচ- খরতাপ ছড়িয়ে নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। গত এক সপ্তাহে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ক্লিনিকে ৫২৭ জন রোগি ডাইরিয়া ও পেটের পীড়াজনিত রোগে ভর্তি হয়েছেন ও চিকিৎসা নিয়েছেন। গাংনীর বিভিন্ন হাটেঘাটে এখন ঠা-া পানির শরবত বিক্রির ধূম পড়েছে। বিশেষ করে শহরের ওলিগলিতে শরবত বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। শহরের এমন শরবত বিক্রির দৃশ্য দেখা গেলে বর্তমানে প্রচ- গরমে একটু স্বস্তির আশায় পথচারীরা ঝুঁকছেন শরবত খাওয়ার দিকে। ব্রাদার্স নেটওয়ার্কের স্বত্ত্বাধিকারী আসাদুল ইসলাম খোকন জানান, খরতাপে দুপুরে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না।
মোটর সাইকেল চালিয়ে গেলেও শরীরে গরমের আচ লাগছে। বিশেষ করে শরীরের যে অংশ পোষাকের বাইরের বেরিয়ে থাকছে তা পুড়ে যাওয়ার মতই অবস্থা। প্রচন্ড গরমে রাস্তায় চলাচল দূরহ হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে পথচারীরা ছাতা ব্যবহার করছেন। অনেকেই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হচ্ছে না। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছামাদুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুর দুটোয় মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা সোমবারের চেয়ে পয়েন্ট চার ডিগ্রি বেশী।
এর আগের দিন রোববার একই সময়ে এ অঞ্চলে তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে বলে জানাচ্ছে আহবাওয়া অফিস। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, গত এক সপ্তাহে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ক্লিনিকে ৫২৭ জন রোগি ডাইরিয়া ও পেটের পীড়াজনিত রোগে ভর্তি হয়েছেন ও চিকিৎসা নিয়েছেন। জনগনকে রাস্তা ঘাটের খাবার না খাওয়া ও স্যলাইন খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।