প্রধান মেনু

অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের পিডি নিযুক্ত করতে হবে -মৎস্য প্রতিমন্ত্রী

মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু ঠিকাদারদের নিকট থেকে মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের ১০০ ভাগ কাজ আদায়ে প্রকল্প পরিচালকদের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে বসে না থেকে মাঠের কার্যক্রম-পরিদর্শনের প্রয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রকল্পের মেয়াদ শেষের আগেই অভিজ্ঞ পিডিদের অবসরে যাওয়া এবং অসময়ে অনভিজ্ঞ নতুন পিডি-নিয়োগে চলমান কাজের মারাত্মক ক্ষতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাকরি অন্তত চারবছর আছে, এমন কর্মকর্তাদের পিডি হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে যাতে তারা সফলভাবে প্রকল্পের সমাপ্তি টানতে পারেন। প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ উপখাতের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ৯ মাসের কাজের রিভিউ সংক্রান্ত সভায় বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ সমাপ্তিকরণের নির্দেশ দিয়ে পিছিয়ে পড়া প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির বিরোধিতা করে প্রকল্প পরিচালকদের বলেন, যেনতেন রিপোর্ট নয় বরং এডিপি-সভায় কাজের অগ্রগতির বাস্তবসম্মত ফলাফল নিয়ে আসতে হবে। মন্ত্রণালয়ের গতিশীলতা বৃদ্ধিসহ প্রকল্পের কাজের যথাযথ মানরক্ষায় তদারকি বৃদ্ধিরও তিনি আহ্বান জানান। সভায় অনেক প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত মেয়াদে সমাপ্ত হবে না জেনে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রাণিসম্পদ উপখাতের ২৪টি প্রকল্পে বরাদ্দকৃত ৩৬৩ কোটি দুই লাখ টাকা মধ্যে জুলাই-২০১৮ থেকে মার্চ-২০১৯ পর্যন্ত ৯ মাসে মোট ব্যয় হয়েছে ১৮৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, যার বাস্তবায়নের হার প্রায় ৫১ শতাংশ।

বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২২টি প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৪১৭ কোটি ২২ লাখ টাকা এবং একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল ২২২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। উল্লেখ্য, মন্ত্রণালয়ের ৩টি সংস্থা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের কাজ করছে। এরমধ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ৩৩২ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭টি, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট ২৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬টি এবং বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিল দু’কোটি টাকা ব্যয়ে ১টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সুবোল বস মনি, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ডিজি হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি নাথুরাম সরকার এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ প্রকল্পের পিডিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।