পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটিতে অবদান রাখায় ২৪টি কারখানাকে পুরস্কার দেবে সরকার
পেশাগত স্বাস্থ্য ও কারখানার সেইফটিতে বিশেষ অবদান রাখায় বিভিন্ন খাতের ২৪টি কারখানাকে এ বছর পুরস্কার প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আজ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারখানা মালিক এবং শ্রমিকদের মধ্যে পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে এ বিষয়ে মালিকদের আগ্রহ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গত বছর থেকে ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি উত্তম চর্চা পুরস্কার’ প্রবর্তন করেছে। সেই লক্ষ্যে এ বছর বিভিন্ন খাতের ২৪টি কারখানাকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। আগামীকাল ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’ এর অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রাপ্ত কারখানা মালিকদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ২০৩০ সালের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে পেশাগত স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে সামনে এসেছে। ২ হাজার ২৬২ গার্মেন্টস কারখানায় সেইফটি কমিটি গঠন করে দিয়েছি এবং যে কোনো প্রকার বিরোধ নিষ্পত্তিতে আমরা মালিক-শ্রমিকদের সামাজিক সংলাপের পরামর্শ দিচ্ছি। পোশাক শিল্পের লাখ লাখ শ্রমিকের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ২০১৭ সালে শুধু গার্মেন্টস শিল্পের জন্য আলাদা ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করেছি। শ্রমিকের যে কোনো সমস্যা সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, নিষ্পত্তি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের জন্য সার্বক্ষণিক বিনাখরচে হেল্প লাইন-১৬৩৫৭ চালু রয়েছে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে কোনো শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে যা কিছু প্রয়োজন সব কিছু করবে সরকার। তিনি বলেন, পোশাক শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি আট হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। বাস্তবায়ন পর্যায়ে দু’একটি ধাপে মজুরি সমন্বয়ে জটিলতা দেখা দেয়ার কারণে আমরা মালিক- শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে বসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মজুরি সমন্বয় করে গেজেট করে দিয়েছি। গার্মেন্টসের মজুরি বাস্তবায়নে এখন কোনো সমস্যা নেই। তারপরও সার্বক্ষণিক শ্রম পরিস্থিতি পর্যবক্ষেণে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সদস্য করে ২৯টি পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করে দিয়েছি।
কমিটি ঘোষিত মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নসহ শ্রম সংশ্লিষ্ট যে কোনো সমস্যামনিটরিং করাসহ সকল সমস্যা সমাধান করবে। প্রেস বিফ্রিংয়ে মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব উম্মুল হাসনা, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আহম্মদ, ড. মোল্লা জালাল, ড. রেজাউল হক, সাকিউন নাহার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টুসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।