সুবর্ণচরে পৃথক ঘটনায় দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার!
গাজী রুবেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চরজুবলী ইউনিয়ন থেকে পৃথক ঘটনায় দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে পপি আক্তার নামের একজনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ঘটনায় নিহতের স্বামী আবু তাহেরকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে নিহতদের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতরা হচ্ছেন চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের আবু তাহের এর স্ত্রী পপি আক্তার (২৪) ও উত্তর কচ্চপিয়া গ্রামের নাছির উদ্দিন এর মেয়ে লুবনা আক্তার (১৯)
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় গত চার বছর আগে আবু তাহের এর সাথে পশ্চিম চরজুবলী গ্রামের হাজী আব্দুস সোবহানের মেয়ে পপি আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পপি আক্তারের কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার ও নিহতের স্বামীকে আটক করে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ পপির স্বামী আবু তাহের, শ্বাশুড়ী ও ননদ মিলে তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। তবে পুলিশ বলছে ময়না তদন্ত ছাড়া হত্যার কারন বলা যাচ্ছেনা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে গত এক বছর আগে এক প্রবাসীর সাথে মোবাইলে বিয়ে হয় লুবনার। বিয়ের পর থেকে সে বাবার বাড়ীতে থাকতো। শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে উত্তর কচ্চপিয়া গ্রামে স্বর্ণের নাকফুল ও রিং হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোট বোন লাভলি আক্তারের সাথে বাকবির্তকের জেরে বক মারার ওষুধ (বিষ) প্রাণ করে লুবনা আক্তার। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ উদ্দিন জানান, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূ পপি আক্তার নিহতের ঘটনায় তার মামা মো: ইসমাইল বাদী হয়ে স্বামী সহ কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অপরটি পুলিশ বাদি হয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করে।