প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল ‘জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলা ২০১৯’ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৩ দিনব্যাপী ‘জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলা ২০১৯’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এবারের এ মেলার প্রতিপাদ্য ‘যান্ত্রিকীকরণ গড়বে আধুনিক ও লাভজনককৃষি’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।  সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে কৃষির উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। জাতির পিতা কৃষকদের কল্যাণে পঁচিশ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকদের খাজনা মওকুফ করে দিয়েছিলেন।

তিনি উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ, উন্নত বীজ, সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করে কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আমরা ২০০৯ সাল থেকে কৃষির আধুনিকীকরণ ও সার্বিক উন্নয়নে সময়োপযোগী বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। সার, বীজসহ সকল কৃষি উপকরণের মূল্যহ্রাস, কৃষকদের সহজশর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা প্রদান, ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগসহ তাঁদের নগদ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। আমরা কৃষকদের মধ্যে কৃষি উপকরণ কার্ড বিতরণ করেছি। কৃষি উন্নয়নের অব্যাহত সাফল্যকে টেকসই করতে লাগসই কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ। কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াতে কৃষি যন্ত্রপাতির ওপর উন্নয়ন সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধি করে দেশের উপকূলীয় ও হাওর অঞ্চলের জন্য শতকরা ৭০ ভাগ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য শতকরা ৫০ ভাগ হারে নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে কৃষিযন্ত্রের প্রসার ঘটেছে এবং ফসলের উৎপাদন ব্যয়ও কমেছে।

উৎপাদন মধ্যবর্তী সময় হ্রাস পাওয়ায় একই জমিতে অতিরিক্ত একটি বা দুটি ফসল চাষ করা সম্ভব হচ্ছে। প্রয়োজনের সময়ে কৃষি শ্রমিকের অভাবজনিত সংকট নিরসন করাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কারণে কৃষকদের কাছে কৃষিযন্ত্র ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফসল উৎপাদন, সংগ্রহ ও সংগ্রহোত্তর বিভিন্ন স্তরে অপচয় কমিয়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার আরো বাড়াতে হবে। আমি আশা করি, টেকসই কৃষি উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন, বিপণন ও সম্প্রসারণে এ মেলা সংশ্লিষ্ট সকলকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে। আমি ‘জাতীয় কৃষি যন্ত্রপাতি মেলা ২০১৯’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”