প্রধান মেনু

শব্দদূষণের বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে প্রয়োজন জনসচেতনতা — পরিবেশ মন্ত্রী

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শব্দদূষণের বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে প্রয়োজন ব্যাপক জনসচেতনতা। নগরায়ন, শিল্পায়ন, মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্ম, যানবাহন, যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের অপরিকল্পিত ব্যবহারের কারণে দূষণ সৃষ্টি হয়। আর অপরিকল্পিত ব্যবহার হয়ে থাকে অব্যবস্থাপনা কিংবা আইনি দুর্বলতা কিংবা আইনের প্রয়োগহীনতার কারণে। শব্দদূষণ মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

আজ ঢাকায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, আমাদের দেশে শব্দদূষণের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে বড় বড় শহরগুলোতে শব্দদূষণের কারণে মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মানুষ ক্রমাগতভাবে হয়ে উঠছে অসহিষ্ণু। প্রতিটি মানুষের আচরণ যেন মানবিকতার মাত্রা ছাড়িয়ে এক অভিনব নৈরাজ্যের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হচ্ছে। মানুষের পারিবারিক জীবন ছাড়িয়ে এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে সামাজিক এমনকি রাষ্ট্রীয় জীবনে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী বলেন, মানুষের অসচেতনতা এবং অবহেলা শব্দ দূষণের জন্য প্রধানত দায়ী। জনসচেতনতার অভাবে শব্দদূষণ আজ মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় আইন আছে। তাই বিদ্যমান আইনটি জনগণের মাঝে ব্যাপক প্রচার করে এ ব্যাপারে জনসচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ বিল্লাল হোসেন, এ এম মনসুরুল আলম, মোঃ মোজাহেদ হোসেন, ড. নূরুল কাদির, মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী প্রমুখ।