প্রধান মেনু

গাজীপুরে দুঃখ দুর্দশায় জীবন কাটছে এক শহীদ পরিবারের 

মোঃ আব্দুল খালেক,গাজীপুর প্রতিনিধিঃ গাজীপুরে শহীদ মোঃ তকদির হোসেন  সেনা সৈনিক ইএমই,পিতা  মরহুম লোফাত আলী চৌধুরী, গ্রাম নলজানী, ডাকঘর চান্দনা চৌরাস্তা থানা উপজেলা গাজীপুর সদর, জেলা গাজীপুর, তিনি বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান এর নির্দেশে  দুই নাম্বার সেক্টর সক্রিয়ভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। দেশ প্রেমিক   শহীদ মোঃ তকদির হোসেন  এর স্ত্রী মোছাঃ আছিয়া  খাতুন  ও ছেলে মোঃ মজিবুর রহমান   পরিবার খুবই দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

শহীদের স্ত্রী ও এক ছেলের ও স্ত্রী সন্তান নিয়ে পরের বাড়িতে ভাড়া থাকতেছে ছেলে ভ্যান চালক দিন  ২০০/৪০০ টাকা যা পায় তাই দিয়ে সংসার চলে শহীদের স্ত্রী মোছাঃ আছিয়া খাতুন জানান  ১৯৭১সালে আমার স্বামী যুদ্ধে যান তারপর আর ফিরে আসেনি অনেক খোঁজা খুঁজির পরে ১৪-৮-৭২ শেখ মুজিবুর রহমানের একটি শোক বার্তা পত্র মাধ্যমে  প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে পরিবারের সাহায্যার্থে ২০০০ হাজার টাকা  মোসাঃ আছিয়া খাতুন আমার নামে তখন বুঝলাম আমার  স্বামী শহীদ হয়েছেন আমার স্বামী শহীদের মর্যাদা পেয়েছেন আছে মুক্তিযোদ্ধা প্রভিশনাল  সার্টিফিকেট  আছে গণপ্রজাতন্ত্রী  বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাময়িক সনদপত্র আছে গাজীপুর জেলা ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা উপজেলা গাজীপুর সদর ও শহীদ মিনাররে  তালিকা ১৪ নাম্বারে সিপাহী শহীদ তকদির হোসেন।

আমার স্বামীকে শহীদের মর্যাদা দিলেও আমরা পাইনি কোন মুক্তিযোদ্ধা পরিবার হিসেবে ভাতা আমার এক ছেলেমাথায় সমস্যা রিসকা চালাই আমরা টিনের বেড়ার ঘরে  ভাড়া থাকি ঠিকমতো খেতে পারিনা অসুখ-বিসুখ এর মধ্যে থাকি এ বাড়ি সে বাড়ি চেয়ে চেয়ে খায় তাই সরকারের কাছে দাবী জানাই আপনাদের মাধ্যমে শহীদি পরিবার হিসেবে যাতে আমরা একটু  ভালো ভাবে বসবাস করতে পারি সরকারের কাছে শহীদের  পরিবার হিসেবে সাহায্য প্রার্থনা করি ।

আমি অনেক জায়গায় দৌড়োদৌড়ি করেও কোনও ফলাফল পাচ্ছি না আমার বৃদ্ধ বয়স আমি অসুস্থ আমি অতি দরিদ্র  বর্তমানে পরের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকি এক বেলা খায় তো আরেক বেলা খেতে পারি না আমরা অনেক অসহায় একটি পরিবার আমাদের পরিবারে  এমন কেউ নেই যে দৌড়াদৌড়ি করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার ভাতার জন্য। মনে হচ্ছে যুদ্ধের সাথে সাথে আমাদের পরিবারে নেমে এসেছে কালো মেঘের ছায়া এত বছর বেঁচে আছি খেয়ে না খেয়ে কাগজ পত্রে ও শহীদ মিনারে শহীদের মর্যাদা পেলেও  পাচ্ছিনা শহীদদের পরিবারের ভাতা অনেক জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করেও হচ্ছে না  কোন কাজ আমি ঠিকমত চোখে দেখি না ছেলে মাথায় সমস্যা পরিবার টা নিয়ে খুবই দুঃখ দুর্দশার মধ্যে আছি।  আশেপাশে এলাকাবাসী জানান শহীদি পরিবারটি খুবই দরিদ্র ও অসহায় তাদের পাশে সাহায্য  করার মতো কেউ নাই তাই সরকারের কাছে দাবি এলাকাবাসী হিসেবে শহীদ মোঃ তকদির হোসেন এর পরিবার কে  সাহায্য করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।