প্রধান মেনু

সুকুমার বৃত্তিকে বড় করতে হবে — গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘মৌলিক সুকুমার বৃত্তিকে বৃহৎ করে বিত্তবান হতে হবে। এ জন্য চিত্তের বিত্ত থাকতে হবে। চিত্ত যদি বিত্তবান না হয় তাহলে বাহ্যিক বিত্ত কোনো কাজেই আসবে না। জীবনকে হতে হবে প্রাঞ্জল, উজ্জীবিত। যে জীবন উৎসাহিত হতে পারে না, সে জীবন আর জড় পদার্থের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না’। আজ বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র আয়োজিত ইংলিশ এন্ড স্মার্টনেস ফর লিডারশিপ কোর্সের ২৫তম ব্যাচের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সনদপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছুতে একটি সম্মিলিত প্রয়াস দরকার।

একজনের ছোট্ট সহযোগিতা আরেকজনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিভাকে বিকশিত করার একটা অদম্য প্রয়াস লক্ষ্য করেছি। ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে, একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।’ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘রক্ত মাংসের দেহ নশ্বর। কিন্তু কীর্তি অবিনশ্বর। কর্মের মৃত্যু হয় না। আসুন কর্মের মধ্য দিয়ে আমরা অমরত্ব লাভ করি। যে সৌন্দর্য কখনও বিলীন হয় না, সেটা হলো মনের সৌন্দর্য, সততার সৌন্দর্য, মূল্যবোধের সৌন্দর্য’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হিমালয়ের মতো উদারতা ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কালজয়ী মহামানবে পরিণত হয়েছেন।

তাঁকে অনুসরণ করতে হবে। মানুষ হিসেবে তৈরি হতে হবে’। সামাজিক দায়বদ্ধতা আমরা এড়িয়ে যেতে পারি না উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো যোগ করেন, ‘রাষ্ট্রের প্রতি সকলের দায়িত্ব আছে। সকল নাগরিককে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নাগরিকের দায়িত্ববোধ থেকে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সকলের ভেতরে একটা সোচ্চার চেতনাবোধ, সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত হওয়া প্রয়োজন। ক্যাম্পাসের নাগরিক সচেতনতা বোধ জাগ্রত করার উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই’।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আলোকিত জাতি গঠনে ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের বিভিন্ন সমাজ উন্নয়নমূলক ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাসচিব ড. এম হেলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন সাবেক সচিব ও ক্যাম্পাসের উপদেষ্টা খন্দকার রাশেদুল হক, অতিরিক্ত সচিব রোকন উদ-দৌলা, শিক্ষানুরাগী ড. মোঃ শরীফ আব্দুল্লা হিস সাকী প্রমুখ।