প্রধান মেনু

পাটখাতের সমস্যা সমাধানে সরকার সচেষ্ট — বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

ঢাকা, ২৭ চৈত্র (১০ এপ্রিল) : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, ‘দেশীয় সংস্কৃতি ধারণ ও পরিবেশবান্ধব পাটজাত সামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধি করার মাধ্যমে পাটের সোনালি সুদিন ফিরিয়ে এনেছে সরকার। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ শতভাগ ও সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

পাটশিল্পে সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্বে ও পরিচালনায় এ খাতে প্রাণের সঞ্চার করেছে। এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে সরকার দেশের অভ্যন্তরে ১৯টি পণ্য মোড়কীকরণের ক্ষেত্রে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধি, দেশের অভ্যন্তরে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি, পাটের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ ও পরিবেশ রক্ষাসহ পাটখাতের সমস্যা সমাধানে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।’

আজ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পাটখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সাথে বৈঠককালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব আবু বকর সিদ্দিক, বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান শাহ মোঃ নাসিম, জেডিপিসি’র নির্বাহীপরিচালক রিনা পারভীন, পাট অধিদপ্তর,  বিজেআরআই, বিজেএমএ, বিজেএসএ, বিজেজিএ, বাংলাদেশ জুট স্পির্নার্স এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পাটখাতে বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনা, উন্নয়ন পরিকল্পনা ও এর বাস্তবায়ন অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের গৃহীত নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে পাট ও বস্ত্রখাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, পরিবেশ রক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী, উন্নত জাতিতে পরিণত করা এবং বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে এ মন্ত্রণালয় সফল হবে।