শাহজাদপুরে ১৬ গ্রামের ২০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার চর নরিনাসহ ১৬ গ্রামের একমাত্র ভরসা হুড়াসাগর নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো। রাত পেরুয়ে দিনের আলো ফোঁটার সঙ্গে সঙ্গেই যেন শুরু হয় জীবন যুদ্ধ। স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি ২৫০ ফুটের সাঁকোটি দিয়ে বিভিন্ন গ্রামের ২০ হাজার মানুষ ও দশটি স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসার তিন হাজার শিক্ষার্থী প্রতিদিন যাতায়াত করে।
শাহজাদপুরের চর নরিনা গ্রামটি অত্যন্ত দূর্গম এলাকা হওয়ায় যাতায়াতের ভাল কোনো সড়ক নেই। এই সাঁকোই তাদের একমাত্র ভরসা। চর নরিনা পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছেই এই সাঁকোটি অবস্থিত। এলাকাবাসি উদ্যোগ নিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকা ব্যয়ে ৩ বছর আগে এ সাঁকোটি নির্মাণ করেছিলেন। সেই থেকে প্রতি বছর এলাকাবাসির সহযোগিতায় সাঁকোটির সংস্কারও করা হয়।তারপরও সাঁকোটি দীর্ঘ দিনের হওয়ায় এটি এখন যাতায়াতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।তাই এখানে একটি কংক্রিট ব্রিজ নির্মানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা সহ এলাকার সচেতন মহল।
স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা বলছেন বৃষ্টির দিনে এবং বর্ষা মৌসুমে আমাদের স্কুলে আশা খুবই কষ্ঠ হয়ে যায়। বর্ষা কালে নৌকা দিয়ে পারাপার হবার সময় আমাদের দূরঘটনার কবলে পরতে হয়। এবং পানিতে পরে বই খাতা ভিজে যায়। এ জন্য আমরা প্রতিনিয়ত স্কুলে আসতেও পারি না। তাই এখানে একটা ব্রিজ নির্মাণ হলে ভালো হয়।
এ বিষয়ে মুঠোফোন কথা হলে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খান বলেন,সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। কতৃপক্ষ একটু নজর দিলে শত শত বছরের কষ্ট একটু ঘুচবে এ আশায় বুক বেঁধে আছেন এ অঞ্চলের হাজারো মানুষ। উন্নত জাতীর পূর্ব শর্ত হলো উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা।