বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে বেড়িয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে এবং এসডিজির লক্ষ্যগুলো সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থবহ সুবিধা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ডব্লিউটিও পরামর্শকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের ট্রেড পলিসি গ্রহণ করা হয়েছে, বাণিজ্য ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ চায় অগ্রাধিকার বাণিজ্য সুবিধাসহ সকল সিদ্ধান্তের দ্রুত বাস্তবায়ন।

বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল, বিশ্ব সভায় তা স্বীকৃত। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ এমডিজি সফলভাবে বাস্তবায়ন করে জাতিসংঘে পুরস্কৃত হয়েছে, এসডিজি বাস্তবায়নে সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। জেনেভায় সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশের ট্রেড পলিসি রিভিউ কমিটির শেষ সভায় বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ডব্লিউটিও ট্রেডপলিসি রিভিউ বডির চেয়ারম্যান অ্যাম্বাসেডর টিহাংকির সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় অ্যাম্বাসেডর ডি রোবার্ত উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ মোতাবেক বাংলাদেশ বাণিজ্য ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে সুনাম অর্জন করেছে। বাংলাদেশ চায় ডব্লিউটিও এবং ক্রেতাগোষ্ঠীর আন্তরিক সহযোগিতা। অনেক প্রতিবন্ধকতা দূর করে বাংলাদেশ এখন সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাণিজ্য সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে সড়ক, নৌ, বিমান যোগাযোগ আধুনিক করেছে। আমদানি-রপ্তানি সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সমুদ্রবন্দরগুলো সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করেছে। বেশ কয়েকটি নতুন সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলা হয়েছে।

সড়ক পথ সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। মালামাল পরিবহন এখন দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্ভব। টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে ভালো করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছে। ট্রেড পলিসি সময়োপযোগী করা হয়েছে। বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য সরকার বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে। বিনিয়োগকারীদের চাহিদা মোতাবেক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত ও দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য খুবই উপযোগী স্থান। বিশ্বের অনেক দেশ ইতিমধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। বিনিয়োগের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নেতৃত্বে বাণিজ্য সচিব মোঃ মফিজুল ইসলাম, জেনেভাস্থ বালাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরীসহ ১৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ ট্রেডপলিসি রিভিউ সমাপনী সভায় অংশগ্রহণ করেন।