অর্থমন্ত্রীর সাথে আইএসডিবির প্রেসিডেন্ট ও মরক্কোর অর্থমন্ত্রীর বৈঠক
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত ৫-৬ এপ্রিল ২০১৯ মরক্কোর মারাকাসে অনুষ্ঠিত ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইএসডিবি) ৪৪তম বার্ষিক সভায় যোগদান করেন। মরক্কো সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত এবারের বার্ষিক এ সভার প্রতিপাদ্য হচ্ছে “ট্রান্সফর্মিং ইন এ ফাস্ট চেঞ্জিং ওয়ার্ল্ড : এ রোড টু এসডিজি’স”। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ৫ এপ্রিল আইএসডিবির প্রেসিডেন্ট ড. বান্দার এম এইচ হাজ্জার এর সাথে বৈঠকে মিলিত হন। প্রেসিডেন্ট ড. বান্দার এম এইচ হাজ্জার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি এও স্পষ্ট করে বলেন যে বাংলাদেশ একটি ট্রান্সফরমেশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
সে কারণে বাংলাদেশের আরো বেশি সম্পদের প্রয়োজন যা হতে পারে আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক। প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের এ ট্রান্সফরমেশনে আইএসডিবির জোরালো ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের রেলওয়ে নেটওয়ার্কসহ আরো কয়েকটি ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব পরীক্ষাধীন অবস্থায় আছে বলে জানান। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এ সকল প্রকল্পের বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বোর্ড অভ গভর্নরস সভায় ও বিভিন্ন সেশনে আনুষ্ঠানিক যোগদানের পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এবারের বার্ষিক সভার চেয়ার ও মরক্কোর অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ বেঞ্চাবোনের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে দুদেশের অর্থমন্ত্রী পারস্পারিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বিগত ১০ বছরে দেশের সকল অর্থনৈতিক সূচকে প্রভূত উন্নয়নের বিষয়ে মরক্কোর অর্থমন্ত্রীকে অবহিত করেন। তিনি দেশে একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে বলেন, সরকারি ও বেসরকারি খাতে বিনিয়োগকে টেকসই করার জন্যই সরকার এই শিল্পাঞ্চলগুলো গড়ে তুলেছে। তিনি এ সকল বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে পিপিপি পদ্ধতিতে তৈরি পোশাক শিল্প, ফার্মাসিউটিক্যালস, ইলেক্ট্রনিক্স, চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনে বিনিয়োগের জন্য মরক্কোর প্রতি অনুরোধ জানান।
এ সকল পণ্য মরক্কোর বাজারে শুল্ক মুক্তভাবে প্রবেশাধিকারের বিষয়েও অনুরোধ করেন। মরক্কোর অর্থমন্ত্রীকে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে মোহাম্মদ বেঞ্চাবোন বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া অবিশ্বাস্য সফলতা দেখার জন্য তিনিশীঘ্রই বাংলাদেশ সফর করবেন। বাংলাদেশের সাথে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরো বৃদ্ধি পাবে বলে দুদেশের অর্থমন্ত্রী আশাব্যক্ত করেন। উক্ত বৈঠক দুটির সময় ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।