পাকিস্তানে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ-উৎসাহের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্ধসঢ়;্ধসঢ়;যাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ইসলামাবাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন গতকাল সন্ধ্যায় স্থানীয় পাঁচ তারকা হোটেল সেরিনায় এক সংবর্ধনার আয়োজন করে। পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান ও তাঁর পতœী দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে আগত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান। অনুষ্ঠানে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সচিব (এশিয়া ও প্যাসিফিক) ইমতিয়াজ আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আইনপ্রণেতা, বেসামরিক ও সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশেররাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনার, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, প্রবাসী বাংলাদেশি, ছাত্র এবং প্রশিক্ষণরত সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ সপরিবারে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন । অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জাতীয় সংগীত পরপর বাজানো হয়। এরপর, বাংলাদেশের হ্ধাসঢ়;ইকমিশনার ও প্রধান অতিথি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। হাইকমিশনার তাঁর বক্তব্যে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি মন্তব্য করেন, দেশের প্রতিষ্ঠালগ্নের মূলনীতি অনুসরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সামাজিক উন্নয়ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির একটি দেশে পরিণত হয়েছে। আজ বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তি, উদারনৈতিক ও আন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির একটি কণ্ঠস্বর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশ্ব শান্তি, নিরাপদ অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধীতা, প্রতিবন্ধীদের অধিকার সংরক্ষণ, ক্ষুদ্র-নৃতাত্ত্বি জাতিগোষ্ঠীর ভাষার অধিকার রক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সোচ্চার ও নেতৃত্বপ্রদানকারী একটি দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিম-লে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের সরকার ও ভাতৃপ্রতীম জনগণকে অভিনন্দন জানান এবং জনগণের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। তিনি নিপীড়িত-বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দানের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের হাইকমিশনার প্রধান অতিথি, কূটনৈতিক কোরের ডিন, সার্কভুক্ত দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ এবং বিশিষ্ট অতিথিদের সাথে নিয়ে বর্ষপূর্তি-কেক কাটেন। অনুষ্ঠান চলাকালে একটি বর্ণাঢ্য নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশাত্মবোধক ও লোকসংগীতের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশি শাড়ী পরিহিত নারীদের পরিবেশিত নৃত্য অতিথিদের বিমোহিত করে।
আমন্ত্রিত অতিথিদের বাংলাদেশি খাবারসহ নানা রকম সুস¦াদু খাবার দিয়ে আপ্যায়িত করা হয়। এর আগে সকালে চান্ধ সারি প্রাঙ্গণে মিশনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন হাইকমিশনার তারিক আহসান। এসময় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। পরিশেষে, জাতির পিতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।