নারী আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে পিছিয়ে থাকলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় – মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার তথ্য সেবা কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বলেছেন, নারী যদি আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে পিছিয়ে থাকে তাহলে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশের কর্মক্ষম মানুষের অর্ধেক নারী। সেই অর্ধেক মানুষকে বাদ দিয়ে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। আজ রাজধানীর নীলক্ষেতে জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাস্তবায়িত ইনফো লেডি বা তথ্য আপা প্রকল্পের উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তাদের ১৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সচিব এসব কথা বলেন।
সচিব বলেন, আমাদের সমাজে নারীর প্রধান শত্রু অজ্ঞতা, কুসংস্কার ও অন্যের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত। নারীকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দৃঢ়তার সাথে পুরুষের পাশাপাশি পথ চলতে হবে। এ ক্ষেত্রে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে তথ্য সেবা কর্মকর্তাগণ প্রত্যেকে সমাজের ‘চেঞ্জ এজেন্ট’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। সচিব কামরুন নাহার প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সুবিধাবঞ্চিত নারীদের তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করবেন। গ্রামের নারীদের কর্মসংস্থান, উৎপাদিত পণ্য ই-কমার্সের মাধ্যমে বাজারজাতকরণে ভূমিকা রাখবেন।
আপনাদের দক্ষতা ও কর্মের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা রোধ হবে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দশটি বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম ডিজিটাল বাংলাদেশ ও নারীর ক্ষমতায়ন তথ্য আপা প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে শতভাগ বাস্তবায়িত হবে। জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির অতিরিক্ত মহাপরিচালক এ এ এম নছিহুল কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সচিব জাহানারা পারভীন, ‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন’ প্রকল্পের পরিচালক মীনা পারভীন।
জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক জাহানারা পারভীন বলেন, সরকার বিশ্বাস করে নারীকে বাদ দিয়ে প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তথ্য সেবা কর্মকর্তাবৃন্দ নারীকে উন্নয়নের মূল ধারায় নিয়ে আসবে। উল্লেখ্য, ‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৪৯০টি উপজেলায় একজন তথ্য সেবা কর্মকর্তা ও দু’জন সহকারীসহ মোট ১ হাজার ৪৭০ জন তথ্য সেবা কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। এসব কর্মকর্তা উপজেলা কেন্দ্র ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১ কোটি নারীকে ইন্টারনেটভিত্তিক তথ্য সেবা, ই-কমার্স ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেবেন।’