ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্বপ্নদ্রষ্টা–সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং বাংলাদেশের আধুনিক পরমাণু বিজ্ঞানের প্রাণপুরুষ। তাঁর নেতৃত্বেই এ দেশের পারমাণবিক খাতে উন্নয়ন ও গবেষণা হয়েছে। সে সময়ে তাঁর উদ্যোগের ফলেই আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আলোর মুখ দেখেছে। এ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পূর্ণোদ্যমে উৎপাদনে গেলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত আরো স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।
বিজ্ঞান চর্চায় বিশেষ করে পরমাণু বিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য ঢাকাস্থ এটমিক এনার্জি সেন্টার অথবা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নামে নামকরণ করা যেতে পারে। প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া : বাংলাদেশের আধুনিক পরমাণু বিজ্ঞানের প্রাণপুরুষ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন একজন ব্যতিক্রমী নিভৃতচারী মানুষ।
তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে অনাড়ম্বর জীবনযাপন করেছেন। সারা জীবন তিনি জ্ঞানার্জন ও গবেষণার মাধ্যমে জাতির সেবা করেছেন। প্রতিমন্ত্রী ড. ওয়াজেদ মিয়াকে স্মরণীয় করে রাখার মাধ্যমে তাঁর জীবন ও কর্ম নতুন প্রজন্মের সামনে শিক্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংস্কৃতি সচিবকে নির্দেশনা প্রদান করেন। জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অভ্ধসঢ়; ট্রাস্টিজ এর সদস্য অধ্যাপক ড. সুলতানা শফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন (মূল বক্তা) থিংকট্যাঙ্ক জন্মভূমি রিসার্চ সেন্টারের কর্মাধ্যক্ষ আসিফ কবীর। সেমিনারে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সেলিমা খাতুন ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নঈম চৌধুরী। স্বাগত বক্তৃতা করেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোরিয়াজ আহম্মদ এবং বক্তব্য রাখেন জাতীয় জাদুঘরের সচিব মো. আবদুল মজিদ।