প্রধান মেনু

ই-কমার্স দেশের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেগবান করছে : জুনাইদ আহমেদ পলক

ঢাকা :১৭ ই মার্চ ,২০১৯, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ই-কমার্স দেশের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বেগবান করছে। তিনি বলেন ই-কমার্স বা ডিজিটাল শিল্পকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে আমাদের চারটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এগুলো হচ্ছে ইন্টারনেট, লেনদেনের ব্যবস্থা, ডেলিভারি সুবিধা ও বিশ্বাস।

তিনি বলেন, ই-কমার্সে ব্যবসা করতে গেলে  আপনাকে বিশ্বাস রাখতে হবে। পণ্যটি  আসবে, যা অর্ডার করা হয়েছে তা ঠিক আছে । এছাড়া পণ্যের মানও ঠিক রাখতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু  আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এস এম ই ফাউন্ডেশন আয়োজিত বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য ই-কমার্সের সুবিধা শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ।

পলক বলেন, বর্তমানে আমরা যে ব্যবসার কথাই চিন্তা করিনা কেন প্রযুক্তিকে বাদ দিয়ে সে ব্যবসার উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। বর্তমানে প্রায় ২ হাজারের মত উদ্যোক্তা ই-কমার্স নিয়ে কাজ করছে। সোশ্যাল মিডিয়াও আজকাল ই-কমার্স হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখন শুধু ছবি শেয়ার করা কিংবা যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। এটা  মানুষের কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক যে কর্মকান্ড সেটাকেও কিন্তু বেগবান করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন তবে সোশ্যাল মিডিয়া আমরা কিভাবে ব্যবহর করব, সেটা নির্ভর করছে ব্যবহারকারির উপর। আমরা ইচ্ছা করলে ভাল কাজেও ব্যবহার করতে পারি। সেটা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বানিজ্য  কাজে বা সমাজ বিরোধী কাজে ব্যবহার করতে পারি। কিংবা অন্য কাউকে ক্ষতি করতেও করতেও সেটা ব্যবহৃত হচ্ছে বলেও
উল্লেখ করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন আইসিটি বিভাগ তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে আইডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে এবং তরুণ উদ্যোক্তারা যেন সঠিক ভাবে তাদের আইডিয়া কাজে লাগাতে পারে সেজন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জেলায় ২৮ টি হাইটেক পার্ক  ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। এর মধ্যে চারটির কাজ শেষের পথে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা নিজেদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী হিসেবে মনে করবেন না, আমাদের স্বপ্ন বড় থাকতে হবে। কিভাবে ব্যবসাকে আরো প্রসারিত করা যায় সেই চিন্তা
থাকতে হবে।

আপনাদের ই-কমার্স সংক্রান্ত সকল সযোগ সুবিধা এস এস ই ফাউন্ডেশনে মাধ্যমে সরকার প্রদান করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন এস এম ই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কে এম হাবিব উল্লাহের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন, এস এম ই ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক মোঃ মোশতাক হাসান, মানতাশা আহমেদ প্রমুখ।