প্রধান মেনু

নবাবগঞ্জে বেগুনী রংঙ্গের বোরো ধানের চারা রোপণ।

মোঃ ইয়ামিন সরকার, নবাবগঞ্জ, (দিনাজপুর): নবাবগঞ্জ উপজেলার পুঁটিমারা ইউনিয়নের চড়ারহাট গ্রামের হাইওয়ে রোডের পার্শ্বে বেগুনী রংয়ের বোরো ধান চাষ হয়েছে। এ জমি নিয়ে  এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বেগুনর রংয়ের ধান ক্ষেতের চাষি মোঃ আঃ হাকিম জয়দেবপুর গ্রামের আঃ হামিদের পুত্র।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ধানের শীষ সাধারণ উফশী ধানের মতোই। পার্শ্ববর্তী উফশী ধানের গোছায় ২০/২১টি করে কুশি হলেও বেগুনি রংয়ের ধান ক্ষেতে গড়ে ২৫/২৬টি করে কুশি প্রতি গোছায় রয়েছে। তবে নীল রংয়ের আভাও আছে।
এদিকে, বিশেষায়িত বেগুনি রংয়ের ধান চাষের খবর পেয়ে জমিটি দেখতে প্রতিদিনই কৃষক হাকিমের মনাগ্রামে অসংখ্য উৎসুক জনতা ভীর করছে। কেউ বা সেলফি তুলে ফেসবুকে আপলোড করছে। অনেকে অন্যকে দেখানোর জন্যও পাতা ছিঁড়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান- কৃষক হাকিমের জমিতে রোপন করা বেগুনী ধানটি দিনাজপুর  জেলায় প্রথম। এই ধরনের ধানের চাষ এ জেলায় আর হয়নি। কৃষি অধিদপ্তরের সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা  নিয়েই কৃষক হাকিম সফলভাবে বেগুনী রংয়ের ধান ২২শতক জমিতে চাষ করেছেন। আমরা সরেজমিনে বেগুনী ধানের জমিতে গিয়েছি এবং দেখেছি। এ ধানের জীবনকাল অন্যান্য উফশী ধানের মতোই হতে পারে। এই অঞ্চলের ধানের চেয়ে এটা ব্যতিক্রমী ও বেশ হূষ্টপুষ্ট এবং অনেকটা রোগ-বালাই প্রতিরোধী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কৃষক হাকিম জাতীয় গোয়েন্দা সংবাদকে বলেন, গাইবান্ধার এক কৃষকের কাছ থেকে অল্প কিছু বীজ এনে চারা প্রস্তুত করে ধান রোপন করেছে।  ধান গাছ ও ধানের রং বেগুনী হলেও চাল সাদা হয়। ধানের গাছ ও ধান দেখে আমার খুব ভালো লাগে। তাই ২২ শতক জমিতে এ ধান লাগিয়েছি। কৃষক হাকিমের আশা এটির ফলন ভাল হবে এবং এই ধানটি অত্র এলাকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।