প্রধান মেনু

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পুলিশ সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “পুলিশ সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বাংলাদেশ পুলিশ দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর রয়েছে গৌরবোজ্জ¦ল ভূমিকা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ডাক দেন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস এ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের ১২৬২ জন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেন।

আমি মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আত্মোৎসর্গকারী পুলিশের বীর সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। বাংলাদেশ পুলিশ দেশের আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জননিরাপত্তা বিধানে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। ‘শৃঙ্খলা নিরাপত্তা প্রগতি’ মন্ত্রে দীক্ষিত বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে। জঙ্গিবাদ দমন ও মাদক নির্মূলে বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা দেশ বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন, যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ¦ল করছে। পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে অপরাধীরাও তাদের অপরাধের ধরণ ও কৌশলে পরিবর্তন এনেছে।

অপরাধীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন অনলাইন অ্যাপস ব্যবহার করে অপরাধ সংগঠন, হ্যাকিং এর মতো সাইবার ক্রাইম সংঘটিত করছে। এসব অপরাধ মোকাবিলায় পুলিশের আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরি। বর্তমান সরকার তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ আধুনিক পুলিশবাহিনী গঠনে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ সকল পদক্ষেপ বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি করবে বলে আমি আশা করি। বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্য দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা, নিষ্ঠা ও পেশাগত উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে জনগণের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করে পুলিশকে আরো জনবান্ধব করে তুলবে – এ প্রত্যাশা করি। আমি পুলিশ সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”