পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “পুলিশ সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান ও প্রাক্তন সদস্যদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্ধসঢ়;সের অকুতোভয় সদস্যগণ সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর পুলিশ সদস্যদের আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আওয়ামী লীগ সরকার সর্বদাই পুলিশবাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করেছে।
আমরা মনে করি, দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা, উন্নয়ন, প্রগতি, জননিরাপত্তা তথা সার্বিক কল্যাণ সাধনে যুগোপযোগী পুলিশবাহিনীর বিকল্প নেই। বর্তমান সরকার বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নতুন নতুন প্রযুক্তি সংযোজন, আধুনিক প্রশিক্ষণ, জনবল বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে, যার সুফল ইতিমধ্যে দেশের জনগণ পেতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ পুলিশের সকল অঙ্গনে আজ নারী পুলিশের কর্মমুখরতা প্রতিষ্ঠানটিকে আরো জনবান্ধব করে তুলেছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও স্থানীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ বিশ্বে ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশের সকল প্রয়োজন ও সঙ্কটকালে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের পুলিশবাহিনীর সাফল্য ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা বাংলাদেশকে বিশ্ব পরিম-লে অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে।
আমি আশা করি, বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জননিরাপত্তা বিধান ও জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাবেন। সেবা প্রত্যাশী মানুষকে স্বল্পতম সময়ে কাক্সিক্ষত সেবা প্রদান করে জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করবেন। সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করবেন। আমি পুলিশ সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”