প্রধান মেনু

পাটের বহুমুখী ব্যবহারে জনগণকে উৎসাহিত করতে হবে — বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, পাটের বহুমুখী ব্যবহারে উৎসাহিত এবং জনপ্রিয় করে পাট চাষিদের সোনালি স্বপ্নপূরণে জোরদার পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। এজন্যে পাটজাত পণ্যের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ এর বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এছাড়া, পাটজাত পণ্যের ব্যবহার নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশবিরোধী প্লাস্টিক পলিথিন ব্যবহার বন্ধে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।মন্ত্রী আজ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পাটখাত সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডার/সমিতি/ অ্যাসোসিয়েশন সাথে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন।

সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ মিজানুর রহমান, বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান শাহ মোঃ নাসিম, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ শাসছুল আলম, শির্পাস কাউন্সিল অভ্ধসঢ়; বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম, বাংলাদেশ জুট মিলস এসোসিয়েশন (বিজেএমএ), বিজেএ, বিজেএসএ, পাট চাষি সমিতি’র প্রতিনিধিসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার তার অভীষ্ট লক্ষ্যে অগ্রসরমান। পাটশিল্পে সরকারের সুদক্ষ নেতৃত্বে ও পরিচালনায় নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে।

পাট শিল্পের এ অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে শেখ হাসিনার সরকার দেশের অভ্যন্তরে ১৯টি পণ্য যথা ধান, গম, চাল, ভুট্টা, চিনি এবং সার ইত্যাদি মোড়কীকরণের ক্ষেত্রে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাধ্যতামূলককরেছে।  সভায় ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন -২০১০’ এর সুষ্ঠু বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিশেষ অভিযান পরিচালনা, পাটকে প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি বাস্তবায়নের অগ্রগতি, কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রী বলেন, এ খাতে যে সব সমস্যা রয়েছে তা সরকার অবগত আছে। এ সমস্যা দূর করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন -২০১০” এর সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য তিনি সকল পক্ষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। মন্ত্রী বলেন, সরকারের গৃহীত নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে পাট ও বস্ত্রখাতের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, পরিবেশ রক্ষা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার ক্ষেত্রে এ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাবে।