স্বীকার করুন বা না করুন, বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে — তথ্যমন্ত্রী
স্বীকার করুন বা না করুন, বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে, গত দশ বছরে শহর ও গ্রামের সব পেশার মানুষের জীবনমান বদলে গেছে, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন বড় অর্থনীতির দেশ। গত কয়েক বছরে বিশ্বের যে ক’টি দেশ তাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের ওপরে নিয়ে গেছে, বাংলাদেশ তাদের অন্যতম। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘ মহাসচিব ও বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ এখন বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রশংসা করেন।’ আজ দুুপুরে সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির সমালোচনার জবাব দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সমালোচনার প্রয়োজন আছে। সমালোচনা পথচলাকে শাণিত করে। কিন্তু ‘যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা’- সমালোচনা যদি এমন হয়, তবে তা সবার জন্য ক্ষতিকর। সমালোচনা ও সাংঘর্ষিক রাজনীতির অবসান হওয়া প্রয়োজন। আজ হরতাল নামের অস্ত্রটি ভোঁতা হয়ে গেছে। সাংঘর্ষিক রাজনীতি বন্ধে সংবাদকর্মী ও সংবাদপত্রের ভূমিকা অনেক।’ সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা ক্যামেরার সামনে বলেছেন, এই নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়েছে। তবে কিছু কিছু পত্রিকায় পর্যবেক্ষকদের নেতিবাচক মন্তব্য নিয়ে যে প্রতিবেদন করা হচ্ছে, তা তারা কোথায় বলেছে, কবে বলেছে, তার অনুসন্ধান হওয়া প্রয়োজন।’
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘জীবন যুদ্ধক্ষেত্রের মতোই। যুদ্ধক্ষেত্রে পাশের সহযোদ্ধা প্রতিপক্ষের গুলিতে মারা গেলে, তার দিকে এক নজর তাকিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হয়। অসম্ভবকে সম্ভব করা মানুষই সফল মানুষ। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই সামনে এগুতে হয়। মন্ত্রণালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আপনাদের (সাংবাদিকদের) সহযোগিতা চাই।’ এর আগে সকাল এগারোটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেশবরেণ্য সঙ্গীতজ্ঞ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের অন্তিম শয়ানে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বুলবুলের মহৎ কাজগুলোকে সযত্নে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেবে সরকার।
জাতীয় পিঠা উৎসব ২০১৯ উদ্বোধন এ দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতীয় পিঠা উৎসবের যুগপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘পিঠা উৎসব আমাদের বাঙালিত্বের প্রকাশ। আর আকাশ সংস্কৃতির যুগে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কালো থাবা রুখতে বাঙালিত্ব লালনই শ্রেষ্ঠ পথ।’ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের মধ্যে ম. হামিদ, রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, আমানুল হক, সমরজিত রায় চৌধুরী প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।