মোঃ শাহজালাল দেওয়ানঃ  টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি।। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর ২ আসন থেকে চতুর্থবারের মত বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হওয়াতে আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি কে এক গণসংবর্ধন দিয়েছেন গাজীপুর মহানগর ৪৫ নং ওয়ার্ড আওয়মীলীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠন।

রোববার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত টঙ্গীর বউ বাজার এলাকায় এ সংবর্ধনা অনুষ্টান অনুষ্টিত হয়েছে। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি মোয়াজ্বেম হোসেন ও টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি এনায়েত উল্লাহ কাজলের যৌথ সঞ্জালনায় এবং ৪৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মোঃ ইসমাইল হোসেন বাবুর সভাপতিত্ব গণসংবধনা অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।

আমন্ত্রীত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিকলীগ টঙ্গী আঞ্চলিক শাখার সভাপতি মতিউর রহমান বিকম ,টঙ্গী থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফজলুল হক,সহ সভাপতি জয়নাল আবেদিন বিএ,সহ সভাপতি মিজানুর রহমান,গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা কাজী মোঃ সেলিম,মহনগর তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ওছমান আলী, ৪৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহআলম রিপন, টঙ্গী থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জামাল হোসেন,প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইমরান তালুকদার বছির,দপ্তর সম্পাদক আলাউদ্দিন মিয়া, ৪৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক হুমায়ুন কবির রুবের, সাবেক যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হালিম মোল্লা,টঙ্গী থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জুলহাস খান,ছাত্রলীগের সভাপতি জামান হোসেন,সে¦চ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শাওন সরকার,সাধারণ সম্পাদক শিবলু আহম্মেদ যুবলীগ নেতা কামাল হোসেন,মামুন পাঠান,সাইফুল ইসলাম লিটন,বশির আহম্মেদ রিপন প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন আপনারা পর পর চারবার এ এলাকা থেকে ভোট দিয়ে আমাকে সংসদ্য হিসাবে নির্বাচিত করেছেন যার জন্য আজ আমি মন্ত্রিপরিষদের একজন সদস্য হয়েছি। তাই আপনারা আমাকে যেভাবে প্রত্যাশা করবেন ,সারা বাংলাদেশের মানুষ ও আমাকে সেই ভাবেই প্রত্যাশা করবে ।

আমি এমপি থাকা অবস্থায় যদি গাজীপুর ২ আসনে কোন অনিয়ম করে থাকতাম কোন দুর্নিতি করতাম তাহলে আজ মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আজ আমাকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বানাতেন না। তিনি আরও বলেন আপনারা যে বয়সে আমাকে এমপি বানিয়েছেন আমি যদি সারা জীবন আপনাদের জন্য কজি করি তারপরও এ ভালবাসার ঝন কোনদি শোধ হবেনা । আপনাদের জন্য আমার দরজা সব সয়য় খোলা ছিল মন্ত্রী হিসাবে ও আপনাদের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা থাকবে।

জাহিদ আহসান রাসেলের জন্ম ১লা জানুয়ারি ১৯৭৮ সালে। তার জন্মস্থান গাজীপুর জেলার পুবাইল ইউনিয়নের হায়দরাবাদ গ্রামে। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। লন্ডনে ব্যারিস্টারি পড়ার সময় তার বাবার মৃত্যু হয় তখনই তিনি দেশে চলে আসেন। তাকে আওয়ামী লীগ থেকে উপনির্বাচনে গাজীপুর-২ সদর আসনে প্রার্থী করা হয়। তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হন জাহিদ আহসান রাসেল ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২য় বারের মত বাংলাদেশের ২য় সর্বোচ্চ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং নবম জাতীয় সংসদে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে নিষ্ঠা ও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়া তিনি লাইব্রেরি কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া তিনি জাতীয় সংসদের নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ।

উল্লেখ্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর মহানগর ৪৫ নং ওয়ার্ড থেকে জাহিদ আহসান রাসেল এমপির নির্বাচনি প্রচার প্রচারনা ও কেন্দ্র কমিটি শুরু হয়,নির্বাচনের পর এই ৪৫ নং ওয়ার্ডে থেকেই সর্ব প্রথম তাকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।