যে কোনো সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে — শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, গার্মেন্টস কারখানার সব ধরনের অভিযোগ জানানোর জন্য শীঘ্রই হট লাইন চালু করা হবে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর হট লাইন পরিচালনা করবে। তিনি বলেন, এখন থেকে গার্মেন্টস শিল্প সংক্রান্ত ত্রিপক্ষীয় কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। গার্মেন্টস শিল্পের যেকোনো সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে।
গার্মেন্টস শিল্পের শ্রম পরিস্থিতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে আজ ঢাকায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মালিক-শ্রমিক ও সরকারের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। সভায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৈরিপোশাক শিল্পের শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত মজুরি কাঠামো সমন্বয়ের পর শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন। শ্রম আইন সবার জন্যই প্রযোজ্য, কার্ড পাঞ্চ করে হাজিরা দিয়ে কোন শ্রমিক কারখানা থেকে বেরিয়ে গেলে তিনি ওই দিনের মজুরি পাবেন না।
শ্রমবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণে অত্যন্ত আন্তরিক উল্লেখ করে শ্রম প্রতিমন্ত্রী ঘোষিত মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নে মালিক-শ্রমিক সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।সভায় অংশগ্রহণকারী গার্মেন্টস মালিক প্রতিনিধিগণ গত কয়েকদিনের গার্মেন্টস কারখানার উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে কোনো নিরীহ শ্রমিক হয়রানির শিকার হবেন না বলে নিশ্চয়তা প্রদান করেন।
কাজে যোগ দেয়ার জন্য মালিক প্রতিনিধিগণ শ্রমিকদের ধন্যবাদ জানান। শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মোঃ সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএয়ের সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, বিজিএমইএয়ের সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, হামিম গ্রুপের চেয়ারম্যান একে আজাদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ,
শিল্প পুলিশের মহাপরিচালক আব্দুস সালাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ সামসুজ্জামান ভূইয়া, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায়, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, ইন্ড্রাস্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিলের মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপন এবং শ্রমিক নেতা এড. মন্টু ঘোষ, সিরাজুল ইসলাম রনি, বাবুল আক্তার, নাজমা, শামীমা নাসরিনসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।