লক্ষ্মীপুরে পরকীয়া প্রেমের ফাঁদে; প্রেমিকের সাথে প্রবাসীর স্ত্রী উধাও
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: পরকীয়া প্রেম এখন ভাইরাসে পরিনত হয়েছে। প্রতিনিয়ত দেশের প্রায় অঞ্চলে গৃহবধু যুবকের সাথে আবার বৃদ্ধের সাথে কিশোরীর উধাও হওয়ার ঘটনা এখন নিয়মে পরিনত হয়েছে । এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে। লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের প্রবাসী স্বামী ওমর ফারুক বাহারে’র এজেন্ট ব্যংকিং ক্লোজিং ২০ লক্ষ টাকা এবং ৪ লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে সাহাদাত হোসেন নামের এক পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে হালিমা আক্তার রিমু নামের দুই সন্তানের জননী উধাও হওয়ার ঘটনায় এলাকা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে । নিখোঁজ হওয়ায় থানায় সাধারন ডায়েরী করেছে মেয়ের পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ৩নং ইউনিয় মহাদেবপুর গ্রামে আহম্মদ উল্যা পাটওয়ারী বাড়ি। পলাতক হালিমা আক্তার রিমু (২৬) লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের আব্দুল খাঁন বাড়ির ওমান প্রবাসী ওমর ফারুক বাহার (২৮) স্ত্রী। ১০ ডিসেম্বর সোমবার সকালের দিকে হালিমা আক্তার রিমু স্বামী ওমর ফারুক বাহারে’র বাড়ী থেকে বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সন্ধ্যা নাগাত বাড়িতে না ফেরায় এবং মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় খোঁজাখুজি করে না পাওয়ায় মা দেলোয়ারা বেগম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর থানায় জিডি করেন।
যাহার জিডি নং:- ৪৬৭ সেখানে সন্দেহ বাজন আসামী হিসেবে হালিমার পরকীয়া প্রেমিক সাহাদাত হোসেনের নাম উল্লেখ করা হয়। এই বিষয়ে ওমর ফারুক বাহারে’র বড় ছেলে রিহাব (১০) সাথে কথা বলিলে সে জানায় তাঁর বাবা ওমর ফারুক বাহার প্রবাসে থাকা কালিন সময়ে মা হালিমা পরিকিয়া প্রেমিক সাহাদাত হোসেনের সাথে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় অন্তরঙ্গ সময় কাটায়। এমনকি সিএনজি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেত। এই বিষয়ে গৃহবধূর মা দেলোয়ারা বেগম বলেন, আমার মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর খোঁজাখুজি করার একপর্যায়ে জানতে পারি রায়পুর ৩নং ইউনিয়নের দক্ষিন চরমহনার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে সাহাদাত হোসেন রাজিব সাথে চলে যায়।
এই ব্যাপারে তিনি এই প্রতিবেদকে বলেন আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় মোবাইলে ইমু ভিডিও কল এবং মেসেঞ্জারে দীর্ঘ সময় কথা বলতে দেখে বারন করি। এবং মেয়ের বাবা প্রাবাসী বকুল মিয়াকে জানালে। মেয়ের বাবা তার জামাই ওমর ফারুক দ্রুত দেশে আসতে বলেন। পরকীয়া প্রেমিক সাহাদাত আমার মেয়ে ও দুই নাতিকে ঢাকা নেয়ার উদ্যেশে চাঁদপুর লঞ্চঘাট নিয়ে যায়। বড় নাতি রিহাবের পাঁ ভাঙ্গা থাকায় না নিয়া ফেরৎ পাঠায়।