প্রধান মেনু

কমরেড মণি সিংহের মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণী

প্রধানমন্ত্রীর বাণী:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ ডিসেম্বর কমরেড মণি সিংহের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “উপমহাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের পুরোধা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা কমরেড মণি সিংহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। বিপ্লবী ও প্রগতিশীল গণআন্দোলনের প্রবাদপ্রতিম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কমরেড মণি সিংহ উপমহাদেশের বৃটিশবিরোধী আন্দোলন ও বাঙালির স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রামসহ সারাজীবন কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সকল ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন ও সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে কমরেড মণি সিংহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আজীবন সংগ্রামী মহান এই বিপ্লবী জননেতার জীবন যুগ যুগ ধরে তরুণদের সামনে আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কমরেড মণি সিংহের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ। স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। আমি কমরেড মণি সিংহ-এর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

রাষ্ট্রপতির বাণী: রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৩১ ডিসেম্বর কমরেড মণি সিংহের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, উপমহাদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের পুরোধা এবং বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র প্রতিষ্ঠাতা কমরেড মণি সিংহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। বিপ্লবী ও প্রগতিশীল গণআন্দোলনের প্রবাদতুল্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব কমরেড মণি সিংহ উপমহাদেশের ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলন, স্বৈরাচারী পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের সংগ্রামসহ সারাজীবন শ্রমিক-কৃষক-মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সকল আন্দোলন ও সংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। কমরেড মণি সিংহ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাপ ও ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীদেরকে সংগঠিত করে যৌথ গেরিলাবাহিনী গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অসাধারণ অবদান রেখেছিলেন। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি ত্যাগ ও সততার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। যুগ যুগ ধরে তরুণ প্রজন্মের জন্য আদর্শ ও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন এ বিপ্লবী মহান নেতা। আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে কমরেড মণি সিংহের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত গভীর। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের পুনর্গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। জাতি গঠনে কমরেড মণি সিংহের মতো সৎ ও ত্যাগী রাজনীতিকের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি কমরেড মণি সিংহের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”