প্রধান মেনু

বাউফলে নির্বাচনী মাঠে নেই বিএনপির ত্যাগী ও সিনিয়র নেতা কর্মীরা

মোঃ শফিকুল ইসলাম,বাউফল প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালী-২বাউফল) আসনে প্রার্থী মনোনয়নে এবার গৃহবিবাদ শুরু হয়েছে ঐক্য ফ্রন্টের অন্যতম প্রধানদল বিএনপিতে। তৃনমুলের নেতাকর্মীদের মতামতকে উপেক্ষা করে নির্বাচনে অনভিজ্ঞ ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়ায় বিপত্তি দেখা দিয়েছে। ফলে নির্বাচনে মাঠে দলের মনোনিত প্রার্থীর পক্ষে কতটা সক্রিয় হবে নেতাকর্মীরা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এই কদিনে দেখা যায়নি উল্লেখযোগ্য কোন নেতাকে।

বিএনপি’র একাদিক সুত্র জানায়, সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশি ছিল বেশ কয়েকজন। দলীয় মনোনয়ন বোর্ড যে তিনজনকে চিঠি দেন তারা হলেন কেদ্রীয় বিএনপি দপ্তর সম্পদক মোঃ মুনির হোসেন,কেদ্রীয় জামায়েত ইসলামে সেক্রেটারী ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ,জিয়া গভেষনা পরিষেদের সভাপতি আনিচুর রহমান আনিচ । স্থানীয় তৃনমুল বিএনপি নেতাকর্মীদের আশা প্রত্যাশা ছিল প্রথম দু’জনের কোন একজনকে চুড়ান্ত মনোনয়ন দিবেন দলীয় মনোনয়ন বোর্ড। কিন্তু তাদের সে ধারনাকে পাল্টে দিয়ে চুড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে গেলেন সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারে স্ত্রী সালমা আলম লিপি ।

এতে করে দলটির উপজেলা বিভিন্ন এলাকার তৃনমুল নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশার পাশাপাশি ক্ষোভ বিরাজ করছে। এমনিতেই অনেক আগ থেকেই বাউফল বিএনপিতে দুটি পক্ষ সক্রিয়। পুরনো বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে জানান, ক্ষুদ্র একটি অংশ দলের মনোনীত প্রার্থী সালমা আলম লিপি এর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রশংসামুলক প্রচারনা চালাচ্ছে। অপর দিকে বৃহত্তর একটি তাঁর মনোনয়নে ক্ষুদ্ধ হয়ে দলের হাই কমান্ডের প্রতি বিষোধগার মূলক নানা মন্তব্য করছে।পছন্দের প্রর্থীকে মনোনয়ন না দেয়ায় অনেক নেতাকর্মীকে নিরাবে থাকতে দেখা গেছে।বাউফল বিএনপি বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জানান বর্তমান সময়ে র্নিবাচনে বাউফল আসনে মহাজোটের প্রার্থী আসম ফিরোজ সাথে তাদের দলের প্রর্থী কতটুকু নড়তে পারবে তা প্রশ্নবিদ্ধ। এব্যাপারে ছালমা আলম লিপি সাংবাদিকদের বলেন দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে কিছুটা ক্ষোভ থাকলেও থাকতে পারে এটা আমার জানা নেই। তবে সিনিয়র সকল নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা চলছে।আশা করি সব ভেদাভেদ ভুলে দেশ মাতার মুক্তি আন্দোলনের অংশ হিসাবে নির্বাচনে সবাই কাজ করবে।