৩০ ডিসেম্বর নৌকা মনোনীত প্রার্থী সমি সিদ্দিকীকে বিজয়ের লক্ষে ঝিনাইদহ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা
শামীমুল ইসলাম শামীম, ঝিনাইদহ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ঃ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে উঠেছে ঝিনাইদহ ২ আসন। তারই ধারাবাহিকতায় ৩০ ডিসেম্বর নৌকা প্রতীক মনোনীত প্রার্থী তাহ্জীব আলম সিদ্দিকী সমিকে বিজয়ের লক্ষে ঝিনাইদহ জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা কে.আহম্মেদ কমিউনিটি সেন্টারে শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক,জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অশোক ধর,দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ,প্রচার সম্পাদক মন্ধজুর পাভেজ তুষার,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান খোকা,জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদীকা খালেদা খানম,খুলনা মহানগরের সাবেক ছাত্রনেতা ও ঝিনাইদহ জেলা হিউম্যান রাইটস মনিটরিং অর্গানাইজেশন মানবাধিকার সংগঠন এর সভাপতি সাংবাদিক শামীমুল ইসলাম শামীম, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উজ্জল হোসেন ও আলাউদ্দিন আহম্মেদ ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রানা হামিদসহ ৬টি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকদ্বয় বক্তব্য রাখেন।
ঝিনাইদহ জেলার রাজনৈতিক মাঠ এখন আওয়ামী লীগের নেতা- কর্মিদের দখলে। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে কেউ কখনো পরাজিত করতে পারেনি। ভবিষ্যতেও পারবে না। ঝিনাইদহের স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ সকল আওয়ামী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাড়ি বাড়ি,পাড়ায় মহল্লায় গিয়ে কাজ করে আগামী ৩০ ডিসেম্বর নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।’ ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগকে কেউ হারাতে পারবে না।
পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঝিনাইদহ-২ আসনের জন্য যোগ্য প্রার্থী বেছে নিয়েছেন। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তাহ্ধসঢ়;জীব আলম সিদ্দিকী সমির পক্ষে কাজ করতে হবে।জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমিও মনোনয়ন চেয়েছিলাম, পাইনি। কিন্তু শেখ হাসিনাকে নেত্রী মানি। নেত্রীর সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিয়েছি। শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ আর নৌকা এর বাইরে কোনো কিছু দেখার প্রয়োজন নেই আমাদের।’
মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার প্রত্যাশীদের মনে ক্ষোভ,দুঃখ-কষ্ট,বেদনা থাকতে পারে জানিয়ে মেয়র মিন্টু বলেন, ‘বেদনা শফিকুল ইসলাম অপুরও থাকতে পারে, আমার থাকতে পারে। কিন্তু সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে গিয়ে শেখ হাসিনার নৌকাকে বিজয়ি করতে পারলে আগামীতে শেখ হাসিনাকে আবারও বাংলাদেশের চতুর্থ বার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে।আর তা না হলে এদেশ জঙ্গিবাদের হাতে চলে যাবে।আমরা কেউ তাদের হাত থেকে রেহায় পাবনা।তাই নৌকাকে বিজয়ি করার বিকল্প অন্য কিছু নেই।’
মিন্টু বলেন, ‘এতদিন যারা আমার সাথে থেকে শেখ হাসিনা তথা আওয়ামীলীগের পক্ষে কাজ করেছেন, আমার শুভাকাংক্ষী ছিলেন যারা, তারা সবাই আওয়ামী লীগের কর্মী, তাদের প্রতি আমার নির্দেশ সবাই যে যেখানে বসবাস করেন সেখানেই নৌকা মার্কার পক্ষে কাজ করবেন, আপনারা যদি আমাকে ভালো বেসে থাকেন,নেতা মেনে থাকেন তাহলে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তাহ্জীব আলম সিদ্দিকী সমি নৌকার প্রার্থীর জন্য এবং নৌকাকে বিজয়ী করতে আমার স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা-কর্মিরা জানবাজি রাখবেন , এই হোক আজকের বিশেষ বর্ধিত সভার অঙ্গীকার ।’
ঝিনাইদহ সদর ও হরিণাকুন্ডু নিয়ে গঠিত ঝিনাইদহ-২ সদর আসন। বিএনপির ঘাটি হিসাবে পরিচিত ঝিনাইদহ-২ সদর আসনের সর্বত্র নৌকার পাল তুলেছেন । ছাত্রলীগের সাবেক প্রথম সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরে আলম সিদ্দিকী ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন।এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসনের নৌকার মাঝি তারই উত্তরসূরি নৌকা প্রতীক মনোনীত প্রার্থী তাহ্জীব আলম সিদ্দিকী সমি। ঝিনাইদহ সদর ও হরিণাকুন্ডুর উপজেলার ২টি পৌরসভা, ২১টি ইউনিয়ন নিয়ে ঝিনাইদহ ২ আসন গঠিত। এ আসনে ৩ লাখ৮৯ হাজার ৭শ ৩৯ জন ভোটার। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ১লাখ ৯৬ হাজার ১৯৬ জন ও পুরুষ ১ লাখ ৯৩ হাজার ৫৪৩ জন।