জাতীয় ভ্যাট দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী ও রাষ্ট্রপতির বাণী
প্রধানমন্ত্রীর বাণীঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় ভ্যাট দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উদ্যোগে ১০ ডিসেম্বর ‘জাতীয় ভ্যাট দিবস ২০১৮’ এবং ১০-১৫ ডিসেম্বর ‘জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ ২০১৮’ উদ্ধসঢ়;যাপিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে দেশের আপামর জনগণ, ব্যবসায়ী এবং ভ্যাট আহরণ ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত রাজস্বকর্মীদের জানাচ্ছি আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠন করেন। রাজস্ব আহরণের সেই চারাগাছ আজ পরিণত ফলবান বৃক্ষ। দেশ আজ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও অর্থনৈতিক কর্মকা-ে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা আনয়নের জন্য আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, যুগোপযোগী রাজস্ব নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, ব্যবসায়িক ও রাজস্ব সংশ্লিষ্ট কর্মকা-ে অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে রাজস্ব প্রশাসন সুসংগঠিত ও সুসংহত করার মাধ্যমে রাজস্ব আহরণে মানসম্মত পরিবর্তন
আনা হয়েছে। রাজস্ববৃদ্ধির অন্যতম সহায়ক শক্তি জনবল। আমাদের সরকারের মেয়াদে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় এই জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রাজস্ব প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে এর সুফলও আমরা প্রতিনিয়ত পাচ্ছি। বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের জন্য অন্যতম শর্ত আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন। আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের পূর্বশর্ত হচ্ছে যথাযথ রাজস্ব আহরণ। এই লক্ষ্যে নিজস্ব সম্পদের যথার্থ ব্যবহার, রাজস্ব প্রশাসনের সকলস্তরে সুশাসন ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা, প্রয়োজনীয় পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ রাজস্ব প্রশাসন গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়া ভ্যাট প্রদানকারীগণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রতিবছর ভ্যাট দিবসে সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতাদের সম্মানিত ও পুরস্কৃত করা হচ্ছে। দেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন এবং আর্থসামাজিক নিরাপত্তা বলয় সম্প্রসারণের মাধ্যমে জাতির পিতার লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার মাধ্যমে উন্নত-সমৃদ্ধ, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। জাতীয় ভ্যাট দিবস ২০১৮ এবং জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ ২০১৮- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয়
বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী
হোক।”
রাষ্ট্রপতির বাণীঃরাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ১০ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট দিবস এবং ১০ হতে ১৫ ডিসেম্বর জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ পালনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। দেশের সম্মানিত ব্যবসায়ী, করদাতা ও ভোক্তাসাধারণকে ভ্যাট প্রদানে উৎসাহিত করতে এ উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজস্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। রাষ্ট্রের নানাবিধ ব্যয় নির্বাহ এবং উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তার সিংহভাগই আসে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব হতে। আর এ রাজস্বের অন্যতম উৎস হচ্ছে ভ্যাট। যথাসময়ে সঠিক পরিমাণ ভ্যাট আহরণ নিশ্চিত করতে ভ্যাট আহরণকারী কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীগণের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস ও সহযোগিতার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি বলে আমি মনে করি। বিগত এক দশক ধরে রাজস্ব আহরণ ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশ আজ নিজস্ব অর্থায়নে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশকে উন্নতরাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্যে রূপকল্প ২০২১ এর পথ ধরে ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে রূপকল্প ২০৪১। দারিদ্র্যমোচন, আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন, মানবিক সহায়তা ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠাসহ নানাবিধ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে তার পিছনে জাতীয় রাজস্ব আহরণের বলিষ্ঠ অবদান রয়েছে। রাজস্ব আহরণের গতিধারাকে আরো বেগবান করতে আমি সম্মানিত ব্যবসায়ী, করদাতা, ভোক্তাসাধারণ, রাজস্বকর্মীসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। জাতীয় ভ্যাট দিবস ও জাতীয় ভ্যাট সপ্তাহ, ২০১৮ উদ্যাপন সফল হোক – এ কামনা করছি।খোদা হাফেজ,
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।