প্রধান মেনু

বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণী

প্রধানমন্ত্রীর বাণী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ই ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“১০ই ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। তিনি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন; যেখানে প্রতিটি মানুষ তার মানবিক মর্যাদা, সাম্য ও ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা লাভ করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, “বিশ্ব আজ দু’ভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক, আরেকদিকে শোষিত-আমি শোষিতের পক্ষে”। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে রাষ্ট্র পরিচালনার অন্যতম মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণের মানবাধিকার সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর। মানবাধিকার উন্নয়ন ও সুরক্ষার অঙ্গীকারের প্রতিফলনস্বরূপ আমরা ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করি। আমাদের সরকার ইতিমধ্যে কমিশনকে ৪৮ জন জনবল প্রদান করেছে এবং আরো ৪০ জন জনবল প্রদানের বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। কমিশনকে আরো শক্তিশালী করতে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাংলাদেশ ২০১৮ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাংলাদেশ ৩ বার এ সদস্য পদে বিজয়ী হলো। বাংলাদেশ মানবাধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে শ্রমিক, শিশু, নারী, প্রতিবন্ধীর অধিকার কনভেনশনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দলিল স্বাক্ষর ও অনুসমর্থন করেছে। শ্রমিক অধিকার সুরক্ষার পথ আরো সহজ করার লক্ষ্যে এ বছর আমরা ‘শ্রম (সংশোধন) বিল-২০১৮’ পাস করেছি। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সকল মানুষের মানবাধিকার সুরক্ষা, সমানাধিকার, অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিতকরণে সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। আমি সরকারের পাশাপাশি মানবাধিকার সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সিভিল সোসাইটি, গণমাধ্যম, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো কার্যকর ভূমিকা পালনের জন্য আহ্বান জানাই। আমি ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ২০১৮’- এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।জয় বাংলা, জয়
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

রাষ্ট্রপতির বাণী

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : মানবাধিকার সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও “বিশ্ব মানবাধিকার দিবস” পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর এইদিন  বিশ্ব মানবাধিকার দিবস' হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সকল মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে। মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছে। একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ কমিশন মানবাধিকার সুরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এ বছর বাংলাদেশ তিন বছরের জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে যা মানবাধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বলে আমি মনে করি।

মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে। মানবতার এ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মর্যাদাপূর্ণ ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ এবং ‘২০১৮ স্পেশাল ডিস্টিংকশন অ্যাওয়ার্ড ফর আউটস্ট্যান্ডিং অ্যাচিভমেন্ট’ প্রদান করা হয়েছে।রাষ্ট্রের পাশাপাশি মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

আমি নারী, শিশু ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ সকল নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি আশা করি মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতিকার পাওয়ার পথ সুগম করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমি ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস' উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।