প্রধান মেনু

মোহাম্মদ হানিফ এর মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোহাম্মদ হানিফ এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিমোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত সফল মেয়র এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সভাপতি মোহাম্মদ হানিফের দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর। বাঙালির মুক্তি-সনদ ৬-দফা ঘোষণার সময় থেকে তিনি জাতির পিতার একান্ত সহকারী হিসেবে অত্যন্ত একাগ্রতা ও বিশ্বস্ততার সাথে দায়িত্বপালন করেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধসহ স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এই অকুতোভয় নেতা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালায়। সেদিন মোহাম্মদ হানিফ মানবঢাল তৈরি করে আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন। মস্তিষ্কসহ তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে গ্রেনেডের অসংখ্য স্পিন্টার ঢুকে পড়ে। তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। দীর্ঘ চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলেও মস্তিস্কের স্পিন্টার নিয়েই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা বাংলাদেশের একজন নিবেদিতপ্রাণ, ত্যাগী, পরীক্ষিত এবং দেশপ্রেমিক নেতা হিসেবে মোহাম্মদ হানিফ এদেশের মানুষের হৃদয়ে গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় প্রোথিত থাকবেন। আমি আশা করি, মোহাম্মদ হানিফের সংগ্রামী জীবন ও কর্ম এ প্রজন্মের রাজনৈতিক কর্মীদেরকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে আরো নিবেদিত হয়ে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করবে। আমি মোহাম্মদ হানিফের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। তাঁর দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”