প্রধান মেনু

পোশাক শিল্পের মেলায় বাণিজ্যমন্ত্রী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রপ্তানি হচ্ছে

ঢাকা, ১ অগ্রহায়ণ (১৫ নভেম্বর) : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের তৈরিপোশাক শিল্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে এখন একের পর এক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গ্রিন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে, ইতোমধ্যে ৭৫টি ফ্যাক্টরিকে গ্রিন ফ্যাক্টরির সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে, আরো ২৮০টি ফ্যাক্টরি গ্রিন সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল বিশ্বের মধ্যে ১০টি তৈরিপোশাক ফ্যাক্টরিকে গ্রিন ফ্যাক্টরির সার্টিফিকেট প্রদান করেছে, এর মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়সহ ৭টি বাংলাদেশের তৈরিপোশাক কারখানা। এ শিল্পে দেশের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এখন বেশি রপ্তানি হচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় রেডকার্পেট-৩৬৫ লিমিটেড আয়োজিত আন্তর্জাতিক গার্মেন্ট এন্ড টেক্সটাইল মেশিনারি এক্সপো (ইওএঞঊঢ) শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের শিল্পখাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের সহায়তার কারণে দেশের কাগজ ও সিমেন্ট শিল্প দাঁড়িয়ে গেছে। ১৯৯৬ সালে সরকার কাগজ উৎপাদনের কাঁচামাল ম- আমদানি শুল্কমুক্ত করে, ফিনিশড কাগজ আমদানির ওপর অধিকহারে শুল্ক আরোপের কারণে দেশ এখন কাগজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে।

দেশের চাহিদা পূরণ করে এখন কাগজ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। একইভাবে দেশের উন্নয়ন কাজে ব্যবহৃত সিমেন্ট আমদানিনির্ভর ছিল। সরকার একইভাবে সিমেন্ট উৎপাদনের কাঁচামাল আমদানির উপর শুল্কশূন্য করে ফিনিশড সিমেন্ট আমদানির ওপর অধিকহারে শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশ এখন সিমেন্ট উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এক সময় দেশে মাত্র ৯ লাখ মেট্রিক টন সিমেন্ট উৎপাদিত হতো, ৫ বছরের মধ্যে দেশে সিমেন্ট উৎপাদন ৭০ লাখ মেট্রিক টনে বৃদ্ধি পায়। এখন দেশে ৩ কোটি মেট্রিক টন সিমেন্ট উৎপাদিত হচ্ছে এবং উৎপাদন ক্ষমতা ৬ কোটি মেট্রিক টন। এক সময় দেশ কৃষির ওপর নির্ভরশীল ছিল। আজ জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৫ ভাগ, শিল্পে ১৩ ভাগ এবং সেবা খাতে ৫৫ ভাগ।

২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে গ্রিসের অনারারি কনসাল জেনারেল এবং বিজিএমই- এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারুক হাসান, বিকেএমই-এর ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মনসুর আহমেদ, বাংলাদেশ পেপার মিলস এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ ইনডেন্টিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মুহা. আইয়ুব, ওয়েল গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ নূরুল ইসলাম বক্তৃতা করেন। প্রদর্শনীতে এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার ১২টি দেশের প্রতিষ্ঠান তৈরিপোশাকের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও টেকনোলজি প্রদর্শন করছে। আগামী ১৮ তারিখ পর্যন্ত প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১০ দশমিক ৩০ মিনিট থেকে রাত ৭ দশমিক ৩০ মিনিট পর্যন্ত খোলা থাকবে।