মোঃশাহআলম সিকদার,কালিয়াকৈর (গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ  গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ডিম উৎপাদনের খামারিদের দিন কাটছে চরম হতাশায় এমনটায় জানালেন স্থানীয় খামারিরা। কালিয়াকৈর উপজেলার খামার রয়েছে প্রায় তিনশত নয় টি । উপজেলার বোয়ালি ও ফুলবারিয়া ইউনিয়নের মধ্যে তুলনামূলক ভাবে বেশি খামার রয়েছে। ফুলবারিয়া ইউনিয়ন এর জাথালিয়া (সিংগাপুর বাজার) এলাকার স্থানীয়দের মধ্যে মোঃ সিদ্দিকুর রহমান মোঃ ফারূক মোঃহেলাল মোঃ সোনামিয়া মোঃআবুল কাশেম মোঃইব্রাহিম ;মোঃআব্দুল লতিফ ;মোঃআনোয়ার মাষ্টার সহ অন্যান্য দের মাধ্যমে জানা যায়: অন্যান্য সময় কিছু লাভ জনক ব্যাবসা হলেও ;বর্তমানে গলার কাটা হয়ে দারি য়েছে। কারন জানতে চাইলে বলেন; এক হাজার মুরগীর একটি খামার করতে খরচ হয় প্রায় দশ লক্ষ টাকা: অনেকে দ্বার দেনা সহ ভিবিন্ন এন জিও সংস্থার মাধ্যমে লোন করে এসব খামার করা হয়েছে ”প্রতি মাসে কিস্তির মাধ্যমে ব্যাংক গুলির ঋন পরিশোধ করিতে হয়। এমন অবস্থায় হিসেব করে দেখাযায় একটি ডিম উৎপাদনের খরচ হয় ৫.২০ টাকা ;কিন্তু এখন একটা ডিমের মুল্য আরৎদার থেকে পাইকারি হিসেবে আমরা পাই মাএ ৪.৫০ টাকা । পূর্বে ডিম দেওয়া শেষ হলে একটি মুরগীর বাজার মুল্য ছিল ৩৩০ টাকা কিন্তু এখন ডিমের বাজারের সাথে সাথে মুরগীর দামও পুর্বের তুলনায় প্রায় অধের্কে নেমে এসেছে ।

প্রতিদিনই লোকশান হচ্ছে খামারিদের ;এমন অবস্থায় সংসার খরচ;সন্তানদের পরালেখার খরচ; মাসিক কিস্তি সহ দ্বার দেনার বোঝা মাথায় নিয়ে হতাশা আর বিপাকে দিন কাটছে খামারিদের। এমন অবস্থা যদি আরও চলতে থাকে আমাদের লেয়ার পল্ট্রির ব্যাবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। স্থানীয় খাদ্য ব্যাবসায়ি মোঃ জমির মিয়া জানান; ডিমের বাজার কম খাদ্যের দাম বেশি ; এই অবস্থায় আমার কোম্পানি মাসুদ ফিড লি;ও গাজীপুর ফিড লি: এর নিকট লক্ষ লক্ষ টাকা ঋন হয়েগেছি; খামারিদের কাছে আমার খাদ্যের লক্ষ লক্ষ টাকা পাওনা আছি সেজন্য আমিও চরম বিপাকের মধ্যে দিন কাটছে।;কারন সব খামারিরা খুব খারাপ সময় পার করছে ;। খামারী সহ অন্যাান্য ব্যক্তিবর্গ যারা এই ব্যাবসার সাথে উৎপ্রুতভাবে জরিত সকলেই সংস্লিট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন ;আমাদের বাঁচান; প্রল্ট্রি শিল্পকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন;না হয় আমাদের সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হতে হবে। ব্যাবসা গুটিয়ে নেয়া ছাড়া অন্যকোন উপায় থাকবে না। উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কাজী রফিকুজ্জামান জানান কালিয়াকৈর উপজেলায় ৩০৯ টির অধিক লেয়ার খামার রয়েছে ; যা থেকে মাসে প্রায় দেরকোটি ডিম উৎপাদন হয় ;কিন্তু চাহিদা রয়েছে প্রায় এক কোটির দশ লক্ষ ;যার কারনে এখন বাজারে প্রভাব পরছে; খামারিরা মার খাচ্ছে। খামারিদের কথা চিন্তা করে তাদের সুবিধার জন্য জেলা পর্যায়ে মিটিংয়ে সংশ্লিষ্ঠ সকলকে জানানো হচ্ছে। তিনি আরও জানান খামারীরা যদি সমবায় এর মাধ্যমে ডিম বাজারজাত ও খাদ্যের ব্যাবস্থা করতে পারে তাহলে এই সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হবে।