সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি’র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সফল সাধারন সম্পাদক ছাত্রদলের সোনালী ফসল ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনের জন্য তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

এসময় তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে আগামীতে বিএনপি অবশ্যই সরকার গঠন করবে। ধানের শীষের বিজয়ের মধ্যে দিয়েই দেশনেত্রীকে মুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছি। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে পরিবর্তন সাধিত হবে। আমি মনোনয়নের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী, দল মনোনয়ন দিলে পরিবর্তনের যে সুর উঠেছে, সরকার গঠন করলে তা বাস্তবায়নে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কাজ করে যাবো। জোটের পক্ষ থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে সব নেতাকর্মী ও অনুসারীদের নিয়ে এ আসন থেকে বিপুল ভোটে ধানের শীষ বিজয় লাভ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ছাত্রদলের সোনালী ফসল কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম।

উল্লেখ্য, আমিরুল ইসলাম খান আলীম ছোট বেলা হতেই জাতীয়তাবাদ চেতনা বুকে লালন করে ১৯৮৬ সালে তামাই বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে, ১৯৮৭ সালে তিতুমীর কলেজে ভর্তি হন, সেখান থেকেই তার রাজনীতির হাতেখড়ি ১৯৮৭ সালে তিনি তিতুমীর কলেজের সিরাজ ছাত্রাবাসের ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে সরকারী তিতুমীর কলেজের ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন, ১৯৯০ সালে তিনি সরকারী তিতুমীর কলেজের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং এরশাদ বিরোধী আন্দলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

এরপর ১৯৯০ সালে এশিয়ার শ্রেষ্ঠবিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, ১৯৯১ সালে তিনি শেখ মুজিব হলের যুগ্ম আহব্বায়ক নির্বাচিত হন, ১৯৯৬ সালে তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য পদ লাভ করেন, ১৯৯৮ সালে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন, ২০০০ সালে তিনি ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন, ২০০২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন, পরে ২০০৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হন, ২০০৫ সালে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মনোনিত হন এবং ১/১১ এর ভয়াবহতার মাঝে জীবন বাজি রেখে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে নেতৃত্ব দেন তার এই সাহসিকতার জন্য দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের বিশ্বাস্থ ও আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন, যার ফলসরূপ ২০০৯ সালে বাংলদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং ছাত্রদলকে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলেন। বর্তমানে তিনি বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ- প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।