নিজস্ব প্রতিনিধিঃ  ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে বুকের তাঁজা  রক্ত দিয়ে বাংলার দামাল ছেলেরা ছিনিয়ে এনেছিলো লাল সবুজের একটি পতাকা ,  দিয়েছিলো একটি মানচিত্র,  ঐ সকল মুক্তিকামী পাগল প্রায় কিছু মানুষের স্মৃতিচারণে কুষ্টিয়া জেলা বরাবরের মত যেন বদ্ধভূমী ।মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কুষ্টিয়া কমান্ড কর্তৃক ইতিমধ্যে ঐ সকল রণাঙ্গনের মুক্তিকামী  মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন ।

কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রশাসক সম্মুখযুদ্ধের বেঁচে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব মোঃ জাহিদ হোসেন জাফর তাঁর দীর্ঘ কর্মযজ্ঞে ঐকান্তিক ইচ্ছায় প্রথম রাজধানী ক্ষেত কুষ্টিয়ায় বিভিন্ন স্থানে মুক্তি যোদ্ধা স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণের তড়িৎ গতিতে এগিয়ে চলছে।জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার মোঃ নাছিম উদ্দিন আহম্মেদ জানান , জেলার মোট ৪৪ টি যুদ্ধক্ষেত্র ছিলো এর মধ্য ৩৩ টি স্মৃতিকমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে । ৩৩টির মধ্যে ২২ টি স্মৃতিকমপ্লেক্স করা হয়েছে ।

আজ  বৃহস্পতিবার মুক্তিযোদ্ধা গণ কবরে একমাত্র সম্মুখ যুদ্ধে বংশীতলা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণে নির্মিত দূর্বাচরা  মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হয় । বংশীতলার সম্মুখ যুদ্ধের শহীদদের মধ্যে ১৪ জন শহীদের নাম পাওয়া যায় এরা হলেন (০১) শহীদ তাজুল ইসলাম (০২) শহীদ দিদার আলী(০৩) শহীদ খোরশেদ আলম দিন (০৪) শহীদ  আঃ রাজ্জাক (০৫) শহীদ ইয়াকুব আলী (০৬) শহীদ সিরাজুল ইসলাম (০৭) শহীদ সুরুজ লাল (০৮) শহীদ মেজবাহ আলী (০৯) শহীদ মোবারক  আলী (১০) শহীদ সাবান আলী (১১) শহীদ আঃ মান্নান (১২) শহীদ কিয়ামুদ্দিন (১৩)  শহীদ আবু দাউদ  (১৪) শহীদ চাঁদ আলী ।

এই ১৪ জনের মধ্যে ৬ জন শহীদ তাজুল ইসলাম , শহীদ দিদার আলী , শহীদ ইয়াকুব আলী, শহীদ আঃ মান্নান, শহীদ সাবান আলী ও শহীদ  আঃ রাজ্জাক বংশীতলার শহীদ এবং শহীদ শহিদুল ইসলাম কমরপুর যুদ্ধের শহীদ এই ৭ জনের গণকবর নির্মিত হয় দূর্বাচরা  হাই স্কুল মাঠে ।

উজান গ্রাম ইউপি কমান্ড ও আঞ্চলিক কমান্ড ,কুমারখালী কুষ্টিয়া শাখার বংশীতলার শহীদদের স্মরণে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন এর সার্বিক নির্মাণ কাজের পরিদর্শন করছেন জেলা পরিষদ প্রশাসক, কর্মকর্তা ও পরিচালকবৃন্দ ।

 এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড জেলা শাখার সভাপতি নাছিম উদ্দিন আহম্মেদ , প্রকৌশলী মতিয়ার রহমান স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাও দূর্বাচরা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রমুখ ।