বানিজ্য ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্থকরণ কাজে বাঁধা হওয়ায় সড়কের দু’পাশের প্রায় ৮ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় গাছ ও সরকারি হাসপাতাল সামনের অবৈধভাবে গড়ে উঠা ২০টি দোকানসহ প্রায় ১৫ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন প্রাশসন। রায়পুর উপজেলার এসিল্যান্ড মোতাসেম বিল্লাহ এর নেতৃত্বে সওজ্#৩৯;র প্রকৌশলী, কর্মকর্তা, পুলিশ, সওজ্#৩৯;র কর্মচারী, পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারী, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত থেকে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।এর আগে সর্দার বাড়ি থেকে জনতা বাজার পর্যন্ত বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেয় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী ট্রাস্কফোর্স। গত ২৩ এপ্রিল সোমবার লক্ষ্মীপুর থেকে রায়পুর বর্ডার এলাকা পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযানের কার্যক্রম চলানো হয় লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান।
তবে অবৈধ স্থাপনা নিয়ে আঃলীগের এক নেতার দায়ের করা মামলার কারনে বুধবার উচ্ছেদ কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রয়েছে। এদিকে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়ার কিংবা উচ্ছেদের নামে সংশ্লিষ্টরা নাটক ও রমরমা বানিজ্য করছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। বাসাবাড়ি বাজারের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী তানজিম ইমন অভিযোগ করেন, তার দোকান সহ আশেপাশের অনেক দোকান ভাঙ্গলেও অদৃশ্য কারণে কেন ৩টি দোকান না ভেঙে চলে যায় কতৃপক্ষ। এ ছাড়াও অনেক অবৈধ স্থাপনা রাজনৈতিক প্রভাবে এবং আর্থিক কারনেও ভাঙা হয়নি বলে তিনি ক্ষোভ জানান। তাঁর দাবী , সওজ কতৃপক্ষ দোকান ঘর করার সময় বাঁধা দিলে অনেক ব্যবসায়ীরা এত ক্ষতিগ্রস্থ হতো না। জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনার কাজ শুরু করলে খবর পেয়ে তখন তারা এসে পকেটভারী করে চলে যান।
অথচ এভাবে এক এক করে এ সব অবৈধ স্থাপনা দিন দিন বেড়েই চলছে। তাছাড়া অনেকে জেলা পরিষদ থেকে জমি লীজ নিয়েছেন বলে দাবী করে স্থায়ী ইমারত নির্মাণ করেন। আইন মোতাবেক লীজ নেওয়া জমিতে কোন স্থায়ী স্থাপনা বেআইনী নয়। ক্ষতিগ্রস্থদের সকলের দাবী অবৈধ স্থাপনা ভাঙ্গনে যেন কোন স্বজনপ্রীতি না হয়। গরীব, নিম্নবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্তদের অবৈধ স্থাপনা ভাঙ্গা হচ্ছে, অথচ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের আর কোটিপতিদের অবৈধ সম্পদ ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকবে, এ কোন আইন, এ কোন বিচার এ প্রশ্ন এখন অনেকের ? উল্লেখ্যঃ এর আগে গত বছর সদর উপজেলার চন্দ্রঞ্জ বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের নামে প্রশাসন ও সড়ক বিভাগের কতিপয় অসাধু ব্যাক্তিবর্গ, দালালরা বিভিন্ন ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে সুকৌশলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।তবে এগুলো স্রেফ গুঞ্জন বলে দাবী, সওজ্#৩৯;র উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোতাসেম বিল্লাহ। বাসাবাড়িতে সরকার দলীয় একটি অফিস ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পূর্বেই ৩ দিনের সময় চাওয়ায় তাদেরকে অনুমতি দেয়া হয়েছিলো।
তিনি বলেন, সওজ বা কোন সরকারি সম্পত্তি জবর দখল বা অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তোলা সম্পূর্ণ বেআইনী ও দন্ডনীয় অপরাধ। নকশা জটিলতা, জেলা পরিষদের লিজ, নিজস্ব সম্পতি দাবী করা কিছু লোকজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জনতা বাজার থেকে বোর্ডার পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযানের নকশা পরিবর্তন হচ্ছে। সরকারী সম্পত্তি উদ্ধারে কে কি করেন তার পরিচয় মূখ্য নয়, জটিলতা কাটিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে আবারো উচ্ছেদ অভিযান আরম্ভ হবে বলে সওজ কতৃপক্ষ জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আর্থিক সুযোগ বা রাজনৈতিক কোন সুযোগ-সুবিধার কোন বিষয়ে অবগত নই। কারন পুরো বিষয়টি সওজ্#৩৯;র এখতিয়ার। প্রশাসন তাদেরকে সহযোগিতা করছি মাত্র দাবী এই কর্মকর্তার।