প্রধান মেনু

রায়পুরে বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ে গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় পৌর শহরসহ বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিং আর বিদ্যুৎ বিভ্রাটে গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন । প্রতিদিন গড়ে লোডশেডিং হচ্ছে ২০ ঘন্টা। গ্রীষ্মের এ গরমে অস্বস্তি ছাড়াও বিভিন্ন রোগে ভুগছেন সর্বস্তরের মানুষ। চলতি সপ্তাহে লোডশেডিং সমস্যা বিগত সময়ের চেয়ে মাত্রা ছাড়িয়েছে। গত বুধবার সকাল থেকে রবিবার পর্যন্ত শতাধিকবার লোডশেডিং হয়েছে। অফিস আদালতে কাজ- কর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে।

সংবাদকর্মীরা জনগুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রেরণে ব্যর্থ হচ্ছে। বিদ্যুতের এই লুকোচুরির কারণে উপজেলার লাখো বাসিন্দা যেমন কষ্ট পাচ্ছেন, তেমনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনারও ব্যাঘাত ঘটছে এবং চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এছাড়াও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অফিসসহ বাসাবাড়ির ফ্যান, ফ্রিজ, মোবাইল ও লাইটিং চার্জারসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি অকেজো হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রায়পুর উপজেলায় আবাসিক ও বাণিজ্য প্রায় ৪৬ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। এ জন্য প্রায় ১৫ থেকে ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুত প্রয়োজন। কিন্তু চাঁদপুর ও চৌমুহনী গ্রিড থেকে মাত্র ছয়-সাত মেগাওয়াট সরবরাহ করা হয়।

মুলত এ কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। গত দুই মাস ধরে নিয়মিত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ ছিল রায়পুরবাসী। তবে চলতি সপ্তাহ থেকে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডাঃ সাইফুল ইসলাম শরিফ বলেন, হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের অস্ত্রোপচারে বিঘ্ন ঘটে। তাই সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বাইরে থেকে জেনারেটর ভাড়া করে হাসপাতালে বিদ্যুত সরবরাহ করা হয়। ১২টার পর বিদ্যুত না আসলে প্রচন্ড গরমে চরম ভোগান্তিতে তখন বাধ্য হয়ে রোগীদের নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়।

রায়পুর ১০ নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন চৌধুরী বলেন, গত বুধবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫০ বার বিদ্যুত আসা-যাওয়া করেছে এখানে। পরে সন্ধ্যায় দুঘণ্টা বিদ্যুত দিয়ে রাত ১০টায় বিদ্যুত যাওয়ার পর এসেছে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটায়। আর লো-ভোল্টেজের সমস্যা তো আছেই। রায়পুর পল্লী বিদ্যুত অফিসের এজিএম শামছুল হক বলেন, অত্যধিক গরমের কারনে মানুষের চাহিদা বেশি। এছাড়া গরমে ওভারলোড হওয়ায় সাব-স্টেশন সমস্যার কারণে শহরে লোডশেডিং একটু বেশি হচ্ছে। তবে দিনে-রাতে শতাধিকাবার লোডশেডিং সঠিক নয়। তবে আমরা শহরবাসীর ভোগান্তিদূর করার চেষ্টা করছি।