প্রধান মেনু

ঝিনাইদহ(শৈলকুপা)-১ আসনে আ’লীগ- বিএনপির দ্বিমূখী মর্যাদার লড়াই- বিএনপির জন্য পুনরুদ্ধার

শামীমুল ইসলাম শামীম,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঃ আর মাত্র ২ মাস বাকি জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ঝিনাইদহ জেলার ৪টি নির্বাচনী আসনে যারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী তারা ইতিমধ্যে গণসংযোগে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ধর্ণা দিচ্ছে ঢাকা কেন্দ্রীয় অফিসে । দেখা করছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে। মনোনয়ণ পাবার জন্য সর্বশেষ জোর তদবিরও চলছে। জেলার ৬টি উপজেলা ঝিনাইদহ সদর-হরিনাকুন্ডু, শৈলকুপা,কালীগঞ্জ ও কোটচাদপুর-মহেশপুর নিয়ে মোটি ৪টি সংসদীয় আসন।

বর্তমানে ৪টি আসনেই আওয়ামী লীগের ৪ জন সংসদ সদস্য ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। এক সময় ঝিনাইদহ জেলাকে বিএনপির ঘাটি হিসেবেই পরিচিত ছিলো। ২০০৮ সালের নির্বাচনের এই ৪টি আসন বিএনপির ভরাডুবি হয়। দখলে চলে যায় আওয়ামী লীগের হাতে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হারানো ৪টি আসন ফিরে পেতে চাই এবং আওয়ামী লীগ এই ৪টি আসন ধরে রাখতে চাই। তবে নির্বাচনীয় ৪টি আসনেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক গ্রুপিং রয়েছে। আওয়ামী লীগের ভোটারদের আশা তারা এবারও ৪টি আসন ধরে রাখবে। বিএনপির ভোটারদের দাবি যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তবে বিএনপির হারানো ৪টি আসনে তাদের প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। সারা দেশের মত শৈলকুপা-১ আসনেও চলছে নির্বাচনী হাওয়া।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে অনেক আগে থেকে শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ,বিএনপি ও জাতীয় পার্টির একাধিক তরুন-প্রবীন নেতারাও মনোনয়ন পাওয়ার জন্য সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ এলাকায় প্রচারণাও চালাচ্ছেন বেশ আগ্রহের সঙ্গে।কেউ কেউ দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি বা তাদের হাইকমান্ডেও যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী থাকলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ, বিএনপির একাধিক সম্বাব্য প্রাথী দলের মনোনয়ন পেতে তাদের দলের পক্ষে গণসংযোগ মতবিনিময় ও শুভেচ্ছা বার্তা প্যানা এবং ফেষ্টুনী টাংগিয়ে জনগনের সামনে নিজেকে পরিচিতি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিশেষ করে, দলের মনোনয়ন আগ্রহী নবীন প্রার্থীরাও মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বর্তমান সরকারের নানানমুখী উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে বক্তব্য রাখছেন বিভিন্ন সভা-সেমিনারে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীগন নিজের কর্তব্যের নজরদারি না বাড়ালেও আগামী জাতীয় নির্বাচনে পুনরায় দল থেকে মনোনয়ন পেতে সরব হচ্ছেন নির্বাচনী এলাকায়। তবে সর্বশেষ, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়ী শৈলকুপার ‘হেভিওয়েট’ এমপিও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আওয়ামীলীগ প্রার্থী ও বিএনপি প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত না হলেও তাদের ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ঘরানার নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছেন। শৈলকুপা-১ আসনে আওয়ামী লীগের অবস্থান বেশ মজবুত।

বিশেষ করে ১৯৯৬ সালের পর থেকে তিনটি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হাই এই আসনে নির্বাচিত হয়েছেন। কামরুজ্জামানের পর আওয়ামী লীগ প্রার্থী হয়েছেন আব্দুল হাই। আব্দুল হাই এমপি তিনি ঝিনাইদহ আওয়ামীলীগের বর্তমান জেলার সভাপতি ও সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী । শৈলকুপা-এক আসনটি আওয়ামী লীগের জন্য মর্যাদার। বিএনপির জন্য পুনরুদ্ধারের। এই আসন থেকে বিএনপি প্রার্থী আব্দুল ওহাবও তিনবার নির্বাচিত হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি ও বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাস দলের মনোনয়ন দৌঁড়ে দুইজনই মাঠে এবং কেন্দ্রে এগিয়ে আছেন।

২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে দল ঐক্যবদ্ধ থাকায় এ আসনে আব্দুল হাই বিজয়ী হন। শৈলকুপার ১৪ ইউনিয়নেই আওয়ামীলীগ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি গ্রুপে বিদ্যমান। দলের ত্যাগি আওয়ামীলীগের বৃহৎ একটি অংশের মতে এ আসনে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন যেই লাভ করুকনা কেন, দলীয় কোন্দল মিটিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে না পারলে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর জয়লাভ করা কঠিন হবে। আব্দুল হাই এমপি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।

তিনি জানিয়েছেন, মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি ভোটারদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক থাকায় তিনিই দলের মনোনয়নের অন্যতম দাবিদার। বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক , বিশিষ্ট শিল্পপতি ও বিশ্বাস বির্ল্ডাস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাস বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে আমি দৃঢ় আশাবাদী। আগামী নির্বাচনে শৈলকুপা এক আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী নজরুল ইসলাম দুলাল তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় নানান উন্নয়ন ও সেবামুলক কর্মকান্ডে আত্মনিয়োগ করছেন।

দলীয় কর্মসূচির পাশা-পাশি সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকান্ডে তাকে সক্রিয়ভাবে যোগ দিতে দেখা গেছে। নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলেও জানা গেছে। নির্বাচনী এলাকার জনগণও তাকে সাদরে গ্রহণ করছে বলেও লোকমুখের আলোচনায় জানা যায়। নজরুল ইসলাম এলাকার উন্নয়নে ও মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন এবং কাজ করে চলছেন। দুলাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন জনগণের দ্বার গোড়ায় পৌছে দিতে হবে।

কারণ শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। তারই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। যাতে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ আবারও ক্ষমতায় আসতে পারে। দুলাল বিশ্বাস শেখ হাসিনার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রচার লিফলেট বিতরন সহ তিনি সরকারের উন্নয়নের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে বলেন এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে হবে।

তিনি আরো বলেন বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে । নিমূর্ল হয়েছে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ , মাদক ।বাংলাদেশ
কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাস আওয়ামীলীগের সকল স্তরের নেতা-কর্মিদের সকল ভেদাভেদ ভুলে সকলকে একজোট হয়ে েনৗকা মার্কাকে বিজয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বর্তমানে নির্বাচনী এলাকা জুড়ে আলোচনা চলছে,আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে শৈলকুপা-১ আসন থেকে নৌকার মাঝি কে হবেন? বর্তমান এমপি আব্দুল হাই কি আবারো পুনরায় আওয়ামীলীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী হবেন না বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক
আলহাজ নজরুল ইসলাম দুলাল বিশ্বাস দলের মনোনয়ন তিনিই পাবেন।

এ দু’জনের একজন শৈলকুপার নৌকার মাঝি হবেন এমনটি তৃনমূলের নেতা-কর্মিদের প্রত্যাশা। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পারভিন জামান কল্পনা ও সাবেক রাষ্ট্রদুদ ওয়ালিয়ার রহমান হিটু , সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার, প্রিয়াংকা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম (আসাফো)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান সজল ্ধসঢ়;এবং কাজী আজাদ বর্তমানে মাঠে মাঝে মধ্যে দেখা গেলেও শৈলকুপা এক আসন থেকে তারাও আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী।

অপরদিকে বিএনপি থেকে প্রচারণায় রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি,কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আব্দুল ওহাব, দলের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ও বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওহাব তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনেও বিএনপি প্রার্থী ছিলেন। অন্যদিকে এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন তরুণ নেতা বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মেধাবি ছাত্রনেতা জয়ন্তু কুমার কুন্ডু ও কেন্দ্রীয় বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ।

দু’জনই এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা গেছে,একটি উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে শৈলকুপা-১ আসন গঠিত। এই আসনে স্বাধীনতার পর হতে এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাটি বা দুর্গ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-কে কেন্দ্র করে হাট-বাজার সহ সমগ্র জনপদ আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে। চায়ের টেবিলে আলোচনা সমালোচনা থেকে যাদের নাম বেশি উঠে এসেছে তাঁরা হচ্ছেন, আওয়ামী লীগের (নৌকা প্রতিক) প্রার্থী বর্তমান এমপি আব্দুল হাই,বাংলাদেশ
কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বিশ্বাস বির্ল্ডাস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ নজরুল ইসলাম দুলাল,বিএনপির (ধানের শীষ প্রতিকের) সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী হচ্ছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আনর্ত্মজাতিক বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জয়ন্ত কুমার কুন্ডু।

তবে বর্তমানে জাতীয় ঔক্য যুক্তফ্রন্ট গঠন হওয়ায় শৈলকুপা এক আসন থেকে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জে.এস.ডির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ঝিনাইদহ জেলা জে.এস.ডি’র সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা দবির উদ্দিন জোয়ার্দ্দারের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি বলে জানা গেছে। এছাড়া জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী) হতে মনোনয়ন প্রত্যাশী শৈলকুপা উপজেলা জাতীয় পাটির্র সভানেত্রী মনিকা আলম,তিনি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য হাইকমান্ডে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। সোনার হরিণ নামক দলীয় মনোনয়ন-কে-পাবেন তা নিয়েও অনেকের রাতের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে।

একমাত্র জাতীয় পার্টিতে এ আসনে কোন দলীয় কোন্দল বা মতো বিভেদ নাই। আর আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির দুটি দলে কিছুটা মতবিভেদ দেখা দিলেও তা নিয়ে রীতিমত অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তবে দলীয় মনোনয়ন যেই পাক না কেন তার পক্ষে সকলে মিলেমিলে কাজ করবেন বলেও অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী দাবী করেছেন। ঝিনাইদহ ১ আসনটি (শৈলকুপা) উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার ২ লাখ ৪৯ হাজার ২৪২ জন। এর মধ্যে মহিলা ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৭৭ এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ৪৬৫ জন। (নির্বাচন অফিসের সুত্র মতে)।

নির্বাচনের এক জরিপে দেখা যায়,১৯৯১ সালের নির্বাচনে ১লাখ ৩১০৭৫ ভোটের মধ্যের বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওহাব ৬৩ হাজার ৬৬৩ ভোট পেয়ে বিজীয় হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্ব আওয়ামী লীগের মো: কামরুজ্জামান পান ৪৬ হাজার ০২৯ ভোট। আর জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সিরাজ আলী পান ১১ হাজার ৯২৬ ভোট। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির আব্দুল ওহাব পান ৭৫ হাজার ১০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের মো: কামরুজ্জামান পান ৬৮ হাজার ৫১৪ ভোট, জায়ামাতের আবু তৈয়ব ৫ হাজার ৯৪৫ জন।২০০১ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আব্দুল হাই পান ৯২ হাজার ৬৫২ ভোট, এবং বিএনপির আব্দুল ওহাব পান ৯২৩০৬ ভোট। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হাই নির্বাচিত হন।

২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের আব্দুল হাই নৌকা প্রতিকে পান ১ লাখ ৯ হাজার ৫০ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী বিএনপির আব্দুল ওহাব পান ৮৫ হাজার ৮শ ৯৯ ভোট।২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের আব্দুল হাই পান ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার পান ১৮ হাজার ৬২ ভোট। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপির প্রার্থী আব্দুল ওহাব,২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল হাই নির্বাচিত হন সংসদ সদস্য হিসেবে।