ফরিদপুরে রাজেন্দ্র কলেজের শতবর্ষ পূর্তি উৎসবে এলজিআরডি মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে মেধা বিনিয়োগ করুন

সুমন মুন্সী জেলা প্রতিনিধি,ফরিদপুরঃ স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন গত দশ বছরে শিক্ষাখাতে অনেক বড় উন্নয়ন ঘটেছে উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। টেকসই উন্নয়ন অর্জনের মাধ্যমে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে আজকের শিক্ষার্থীদের মেধা,মনন ও সৃজনশীলতা বিনিয়োগ করতে হবে। আর সে লক্ষ্যে নিজেকে একজন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়তে হবে।
তিনি বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও উন্নত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। প্রধান অতিথি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, অনেক সীমবদ্ধতার মাঝে শিক্ষাজীবন পার করতে হয়েছে আমাদের। তোমরা এখন হাত বাড়ালেই অনেক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘রূপকল্প-২০২১’ ও ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের জন্য তোমরা তোমাদের মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা নিয়োগ করবে বলে আমার বিশ্বাস। শনিবার ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শতবর্ষ পূর্তি উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি বলেন, শিক্ষার মূল লক্ষ্য জ্ঞানার্জন। তাই এ একাডেমিক শিক্ষা পাশাপাশি সংস্কৃতি ও ক্রীড়াসহ অন্য বিষয়েও চর্চ্চা করতে হবে। প্রকৃত মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়তে শিক্ষা ও সংস্কৃতির কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমরা সে ব্যবস্থা নিয়েছি। সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোশার্রফ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক সচিব হেমায়েতউদ্দিন তালুকদার, মিঞা লুৎফার রহমান,জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া, পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন খান, অধ্যাপক অসীম কুমার সাহা প্রমুখ।
এছাড়া মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর জামাতা এবং এলজিআরডি মন্ত্রীর ছেলে খন্দকার মাশরুর হোসেন মিতু,। এর আগে সকালে শোভাযাত্রা, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সাথে সাথে জাতীয় ও কলেজ পতাকা উত্তোলন, শতবর্ষ স্মারকস্তম্ভ স্থাপন, বৃক্ষরোপণ বেলুন ও পায়রা উড়ানো হয়। এছাড়া অতিথিদের উত্তরীয় পড়ানো এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।বিকেলে দ্বিতীয় পর্বে স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।