প্রধান মেনু

ঝিনাইদহে গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় অপহৃত ছাত্রী উদ্ধার!

শামীমুল ইসলাম শামীম,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঃ ঝিনাইদহের মহেশপুরের অষ্টম শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে রাস্তা থেকে অপহরণ করে হত্যা চেষ্টার অভিযাগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী একটি ঘর থেকে গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় মাদ্রাসার ছাত্রীকে উদ্ধার করে এবং বখাটে ইব্রাহিমকে জনতা আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। রোববার সকালে উপজেলার ভৈরবা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা মহেশপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অপহৃত ছাত্রী ভৈরবা আলহেরা সিনিয়র মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে এবং বখাটে ইব্রাহিম ভৈরবা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় একটি কলেজের শিক্ষার্থী। অপহৃত ছাত্রীর বাবা জানান, প্রায় ৩ মাস ধরে তার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ভৈরবা গ্রামের ইব্রাহিম উত্যক্ত করতো। এর আগে দুই দিন অপহরণ করার চেষ্টাও করে। বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসার সুপারসহ ইব্রাহিমের পরিবারের সদস্যকে জানানো হয়। ইব্রাহিমের অত্যাচারে মেয়ের মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে নিজে মেয়েকে সাথে নিয়ে মাদ্রাসায় পৌঁছে দিতেন। রোববার সকাল ৮টার দিকে তার মেয়েসহ ৪ বান্ধবী মাদ্রাসায় যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে বখাটে ইব্রাহিম তার মেয়েকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। এ সময় তার মেয়ের গলায় রশি বেঁধে হত্যার চেষ্টা করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হবার পর গ্রামবাসী ঘরের দরজা ভেঙে তার মেয়েকে উদ্ধার করে। মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে সে অপহরণ করেছিলো। বিষয়টি মহেশপুর থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানো হয়েছে। ভৈরবা আলহেরা মাদ্রাসার সুপার নুর মোহাম্মদ জানান, বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার আমরা মাদ্রাসায় মিটিং করেছি।

বখাটে ইব্রাহিমের পরিবারের সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত ছিলো। মাদ্রাসার শিক্ষকরাও ইব্রাহিমকে ওই মেয়েকে উত্যক্ত করতে বারণ করেন। মহেশপুর থানার ওসি লস্কর জায়াদুল করিম জানান, সকালে ঘটনা জানার পর ভৈরবা পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জকে পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা মহেশপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবো।