লক্ষ্মীপুরে বিয়ে বাড়িতে জমি বিরোধ আহত -৭

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের আইব আলী সওদাঘর বাড়ি প্রযত্নে মনির ডাক্তার বাড়িতে বিয়ে বাড়ির গেট নির্মাণকে কেন্দ্র করে সাত জন আহত হয়। আহতরা হলেন ইকবাল হোসেন চৌধুরী, মালিহা মমতাজ, কাউচার, তানজিনা আক্তার সিমু, আয়েশা আক্তার লিলি ইপপাত আরা, তামান্না আক্তার। ঘটনাটি নিয়ে আহত ইকবাল হোসেন চৌধুরী আজ ২৮ই জুলাই সাংবাদিকদের জানান, বাবরের বিয়ের গেট নির্মাণকে কেন্দ্র করে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আক্তার হোসেনের পুত্র বাবর, সফিকুর রহমান, মমিন হায়দার আফ্রিদি, পিতা-ডাক্তার স্বপন, সহ কয়েকজনের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্র স্ধসঢ়;¦জ্জে-সজ্জিত হয়ে ইকবাল হোসেনের পরিবারে উপরে হামলা করে তারা এখন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
হামলায় ইকবাল হেসেন ও তার কন্যা মালিহা মমতাজ সহ পরিবারের সকল সদস্য গুরুত্বর আহত হয়। বিষয়টি নিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আনোয়ার হোসেন জানান, ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও তার কন্যা মালিহা মমতাজের অবস্থা খুবই আশঙ্কা জনক তারা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা নড়ছেন অপরদিকে আক্তারের পুত্র বাবর আনন্দ-উল্লাসে বিয়ে করছেন। বাবর একজন মাদক সেবী বিশেষ সূত্রে জানা যায়। লক্ষ্মীপুর সদর থানায় আয়েশা আক্তার বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তারিখঃ ২৫/০৭/২০১৮ইং, মামলা নং- ৫৪, ধারা ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৪২৭/৩৫৪/৩৭৯/৫০৬ দন্ডবিধি মামলা রুজু করা হয়। বিষয়টি নিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হোসেন জানান, খুব দ্রুত তদন্ত করে দূষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইকবাল হোসেন চৌধুরীর সহ তার পরিবারে সকল সদস্যকে নির্মমভাবে আহত করে আক্তারের পুত্র বাবার আনন্দ-উল্লাসে বিয়ে করছেন। যার কারণে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, আক্তারের পুত্র বাবর একজন মাদক সেবনকারী সে কারণে বিনা কারণে মানুষের সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়।
তার হামলার শিকার হয়ে ইকবাল হোসেন চৌধুরীর পুরো পরিবারটি আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে অপরদিকে সে বিভিন্ন জেলা থেকে শিল্প ভাড়া করে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে এবং মাদক সেবন করে আনন্দ-উল্লাসে মগ্ন রয়েছে। বাদির পরিবারকে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এবং আহত মালিহা মমতাজ জানান, এরা আমাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করে এসময় আক্তারের পুত্র বাবার আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তরা কোন বক্তব্য দেননি। এই ঘটনায় পুলিশ কোনো আসামি গ্রেফতার না করার কারণে এলাকাবাসী হতাশ। ভুক্তভুগী পরিবারটি ন্যায় বিচারের স্বার্থে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।