নিজস্ব  প্রতিনিধি ঃ ঝিনাইদহের সদর উপজেলার সাধুহাটি নামক স্থানে বাসচাপায় নছিমনের তিন পান বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাতজন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঝিনাইদহ- চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, শহিদুল ইসলাম (৪০), লতিফ মন্ডল (৫২) ও রায়হান উদ্দীন বিশ্বাস (৬০)। নিহত রায়হান উদ্দীন বিশ্বাস ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের ইনাম উদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে। আব্দুল লতিফ হরিনাকুন্ডু উপজেলা কেষ্টপুর গ্রামের জাকির মোল্লার ছেলে এবং একই উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের দুলু মন্ডলের ছেলে নছিমন চালক শহিদুল ইসলাম।

দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কেষ্টপুর গ্রামের খোদা বক্সের ছেলে আব্দুল মোমিন মিয়া (৫৪), কেষ্টপুর গ্রামের মোঃ নুরুল ইসলামের ছেলে পানচাষী কামরুল ইসলাম (৫১), আইনুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আব্দুল খালেক বিশ্বাস (৪৫), ডাকবাংলা ডিগ্রী কলেজের পিয়ন সাধুহাটি গ্রামের আওলাদ হোসেনের ছেলে আব্দুস সালাম (৪৪) ও পান্তাপাড়া গ্রামে আনোয়ার শেখের ছেলে ছালাম শেখ (২৭) ও মিন্টু মিয়াসহ সাতজন। হতাহতরা সবাই পান চাষী বলে স্থানীয় চেয়ারম্যান যুবলীগনেতা কাজী নাজির উদ্দীন জানিয়েছেন। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ জানান, মঙ্গলবার সকালে হরিণাকুন্ডু থেকে কয়েকজন পান ব্যবসায়ী নসিমনে করে কেষ্টপুর থেকে চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জ বাজারে যাচ্ছিলেন।

পথে চুয়ডাঙ্গা থেকে ঝিনাইদহগামী ইএন পরিবহনের একটি বাসের সাথে নছিমনের সংঘর্ষ হলে সদর উপজেলার সাধুহাটি এলাকায় ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কে তারা হতাহত হন।ঘটনাস্থলেই পান বিক্রেতা রায়হান উদ্দীন নিহত হন। এসময় আহত হন আরও নয়জন। শাহিদুল  ও লতিফ মারা যান ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।আহতদের মধ্যে মোমিন ও খালেককে আশংকাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আর বাকীদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর পুলিশ বাসটি আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছেন বলে তিনি জানান।দুর্ঘটনার পর ঝিনাইদহের সাধুহাটী মোড়ে স্প্রিডব্রেকারের দাবিতে জনতা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। পরে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি ইমদাদুল হক শেখের আশ্বাসে জনতা অবরোধ কর্মসূচি থেকে সরে আসেন।