জাতীয় স্যানিটেশন মাস এবং বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ অক্টোবর জাতীয় স্যানিটেশন মাস এবং বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে নিমোক্ত বাণী প্রদান করেছেন : “স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এবারও ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস-অক্টোবর ২০১৮’ এবং ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০১৮’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘ স্যানিটেশনকে মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছে।
স্যানিটেশন শুধুমাত্র জনসাধারণের মৌলিক অধিকারই নয়; জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ প্রায় সব মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা সকলের জন্য স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করছি। সকলের দোরগোড়ায় স্যানিটেশন সুবিধা পৌঁছে দিতে আমরা বাস্তবমুখী কৌশলপত্র ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জাতীয় স্যানিটেশন মাস উদ্ধসঢ়;যাপনসহ বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা প্রতিবছর স্যানিটেশন মাস অক্টোবরে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ধারাবাহিক কার্যক্রমের ফলে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের অভাবজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। স্যানিটেশন আজ সামাজিক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।
এ আন্দোলনকে আরো বেগবান করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও গণমাধ্যমসহ দেশের প্রতিটি নাগরিককে আমি আহ্বান জানাচ্ছি। আমি আশা করি, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক এ আয়োজন সবার জন্য স্যানিটেশন নিশ্চিত করে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে। আমি ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস-অক্টোবর ২০১৮’ এবং ‘বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০১৮’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”