প্রধান মেনু

রাপুরে হাতুড়ে ডাক্তারদের দৌরাত্ম্য ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই বিক্রি করছে এন্টিবায়োটিক ঔষধ

মো: আবদুল কাদের,রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সর্বএে হাতুড়ে ডাক্তারদের রমরমা ওষুধ ব্যবসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন উপজেলার সাধারণ মানুষ। রায়পুর উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের হাট বাজারে হাতুড়ে ডাক্তারদের রমরমা ঔষদ ব্যবসা চলছে। কিন্তু এ হাতুড়ে ডাক্তারের অপচিকিৎসারোধে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সেদিকে কোনও নজর নেই। জানা গেছে, উপজেলার হায়দারগঞ্জ, খাসেরহাট, মোল্লাারহাট, রাখালিয়া বাজার, বাসাবাড়ি বাজার, ভুঁইয়ার হাট, মালি বাড়ি, কেরোয়া মোল্লারহাট, কাপিলাতলী বাজার,মিরগঞ্জ,পানাপাড়া, কাজিরদীঘীর পাড়,বাবুর হাট, গাজীনগর, বাংলা বাজার, পৌরশহর, ভুঁইয়া রাস্তা, নতুন বাজার, জোড়পোল, নয়ার হাটসহ প্রত্যন্ত গ্রামের হাট-বাজারে
অটোবাইক, মাইক্রোবাস ও মাইকে প্রচারণা চালিয়ে হাতুড়ে ডাক্তারা দীর্ঘদিন ধরে এ ওষুধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরো জানা গেছে, গ্যাস্টিক, আলসার, ক্যান্সারের ব্যথা, সর্দি-জ্বর, মেহ- প্রমেহ, পেট আমেশায়সহ যৌন রোগ থেকে শুরু করে সব ধরনের নতুন ও পুরাতন রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি এ ধরনের ডাক্তারা অপারেশনের ঝুঁকিও নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রায় হাজার খানেক ওষুধ ফার্মেসী রয়েছে। এসব ওষুধ ব্যবসায়ীর অনেকের ড্রাগ লাইসেন্স এবং অনেকের ডাক্তারি কোনও কাগজপত্র নেই। এমনি কী তাদের ট্রেড লাইসেন্স পর্যন্ত নেই। তবুও তারা বড় বড় ডাক্তাদের চেলেঞ্জ ছুড়ে চিকিৎসাপত্র ছাড়াই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এন্টিবায়োটিক ও ঘুমের ওষুধ বিক্রি করছে। আবার ছোট ছোট হাট বাজারের অনেকেই নামের শেষে চিকিৎসাশাস্ত্রের বড় বড় ডিগ্রি জুড়ে দিয়ে চুটিয়ে চিকিৎসকের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদের কেউ কেউ স্বল্প সময় কোনও ডাক্তারের সহকারি বা কোনও ওষুধের দোকানে কাজের লোক হিসেবে কাজ করে চিকিৎসক বনে গেছেন।

তারা ডেন্টিস, টিউমার সার্জন ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব চিকিৎসক রোগীদের আস্থা অর্জনের জন্য প্যাথলজি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই জ্বর, কাশি, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের স্বল্পসময়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাত্রার ওষুধ দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে উচ্চ  ক্ষমতা সম্পন্ন এন্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ ব্যাপকভাবে চলছে। এতে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের রোগীরা সাময়িকভাবে সুস্থ হলেও পরবর্তী সময়ে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। সাময়িকভাবে সুস্থ এসব রোগী পুনরায় আক্রান্ত হলে তার শরীরে এন্টিবায়োটিকে আর কাজ করে না। আবার অনেকে কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জাকির হোসেন বলেন, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক সেবন করা যাবে না। অধিক পরিমাণে এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করার কারণে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। মানুষেরা পরবর্তীতে কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়। হাতুড়েদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।